এসিড হামলা, ৩ মাসেও আসামি গ্রেপ্তার নেই 

দিনাজপুরের খানসামা থানার একটি এসিড হামলার মামলায় তিন মাসেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার হয়নি।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2017, 11:15 AM
Updated : 4 July 2017, 11:15 AM

তদন্ত কর্মকর্তার ভাষ্য, আসমিদের বিরুদ্ধে অপরাধ সংগঠনের কোনো প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না।

এসিডদগ্ধ খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি গ্রামের জমির উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধে গত ৫ এপ্রিল রাতে একই এলাকার আতিকুর রহমান, রশিদুল ইসলাম ও জুয়েল রানাসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন তার উপর এসিড হামলা করেন। ওই ক্ষত তিনি এখনও বয়ে বেড়াচ্ছেন।

এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এর ৫(খ) ও ৭ ধারায় খানসামা থানায় তিনি মামলাটি দায়ের করেন ১৯ এপ্রিল।

খানসামা থানার ওসি আব্দুল মতিন প্রধান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাদী নিজে একজন ডাকাত, তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা আছে।

তার বিরুদ্ধে মামলা আছে বলে কি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না? প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মামলা যখন তদন্ত কর্মকর্তকে তদন্তের জন্য দেওয়া হয়, তখন আর ওসির কোনো ভুমিকা থাকে না। 

তাই তিনি এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. দুলাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এসিড হামলার ঘটনা তদন্তে আসামিদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই নিরীহ ওইসব মানুষকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ হয়রানি করতে পারে না।”

এসিড অপরাধ দমন আইন ২০০২ এর ৫ (খ) ধারায় বলা হয়েছে: “যদি কোন ব্যক্তি কোন এসিড দ্বারা অন্য কোন ব্যক্তিকে এমনভাবে আহত করেন যাহার ফলে তাহার শরীরের অন্য কোন অংগ, গ্রন্থি বা অংশ বিকৃত বা নষ্ট হয় বা শরীরের কোন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হন তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তি অনধিক চৌদ্দ বছর কিন্তু অন্যূন সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন এবং ইহার অতিরিক্ত অনূর্ধ্ব পঞ্চাশ হাজার টাকার অর্থদণ্ডেও দণ্ডনীয় হইবেন৷”

একই আইনের ৭ ধারায় বলা হয়: “যদি কোন ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোন অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করেন এবং সেই সহায়তার ফলে উক্ত অপরাধ সংঘটিত হয় বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টা করা হয়, তাহা হইলে ঐ অপরাধ সংঘটনের জন্য বা অপরাধটি সংঘটনের চেষ্টার জন্য নির্ধারিত দণ্ডে সহায়তাকারী ব্যক্তি দণ্ডনীয় হইবেন৷”