বৃষ্টিতে শঙ্কিত পাহাড়বাসী

টানা বৃষ্টিতে খাগড়াছড়ি শহরে চারটি বাড়ি ধসে পড়ায় নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে; ধস প্রতিরোধের উপায় না থাকায় হতাশায় ভুগছে দরিদ্র পাহাড়বাসী।

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিনূরুল আজম, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 July 2017, 09:39 AM
Updated : 4 July 2017, 10:07 AM

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিশ শারমিন জানান, মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে শহরের শালবনে আঠারো পরিবার এলাকায় নতুন করে পাহাড় ধসে চারটি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এতে কেউ হতাহত হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, ধসের আগেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির সদস্যদের সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছিল।

আঠারো পরিবার এলাকার বাসিন্দা হাসান আলী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তার বসতঘর, গোয়ালঘর ও পায়খানা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

“এখন আতঙ্কে আছি পুরো বাড়িঘর বিলীন হয়ে যেতে পারে সেই আশঙ্কায়।”

হরিনাথপাড়ার খুরশিদ আলীর দুটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনিও হাসান আলীর মতোই আতঙ্কে ভুগছেন।

সরজমিনে দেখা গেছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এলিশ শারমিনের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকাল থেকে জেলা শহরের ঝুকিপূর্ণ এলাকা নেন্সি বাজার, শালবন, হরিনাথ পাড়া গ্যাপ, আঠারো পরিবার, কলাবাগানে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক মো. রাশেদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলায় পাঁচটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। আশ্রয় নেওয়া দুর্গতদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

আঠারো পরিবার এলাকার ছবি

কিন্তু মানুষের মন থেকে আতঙ্ক কাটছে না।

হরিনাথপাড়া গ্যাপের বাসিন্দা শাহ আলম বলেন, “লাগাতার বর্ষণ হলে পাহাড় ধসে তাদের বাড়িঘর সব বিলীন হয়ে যেতে পারে।

“প্রতিরোধের কোনো উপায়ও দেখছি না। জীবন-যাপন, ঘর-সংসার সব অনিশ্চিত।”

গত ১২ জুন রাতে প্রবল বর্ষণে খাগড়াছড়িতে চারজন ছাড়াও রাঙামাটি ও চট্টগ্রামসহ দেশের ছয় জেলায় দেড় শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১২০ জন মারা যায় রাঙামাটিতে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয় অনেক ঘর।