গাজীপুরে কারখানার বয়লার বিস্ফোরণ, ৯ জনের মৃত্যু

গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনায় নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশত।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 July 2017, 02:44 PM
Updated : 3 July 2017, 07:07 PM

কাশিমপুরের নয়াপাড়ায় ‘মাল্টি ফ্যাবস লিমিটেড’ নামের এই পোশাক কারখানায় সোমবার সন্ধ্যার এ বিস্ফোরণে আহতরা ঢাকা মেডিকেলসহ বিভিন্ন হাসপাতলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি লাশ উদ্ধারের কথা রাত সাড়ে ১১ টার দিকে জানিয়েছেন গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. আখতারুজ্জামান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওই কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ হওয়ার খবর পান। জয়দেবপুর, কালিয়াকৈর ও টঙ্গী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা রাত ৮টার দিকে উদ্ধার কাজ শুরু করে।

“নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।”

কারখানার লোকজন ও এলাকাবাসীর সহায়তায় আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় বিভিন্ন ক্লিনিক ও হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। চারতলা ভবনটির দোতলার কিছু অংশ খসে পড়েছে বলে জানান তিনি।

কারখানার কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

ঢাকা মেডিকেল ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে সালমান শাহ (৩০) ও কামরুল (৩২) নামে দুজনকে আনা হয়।

“মাথায় আঘাত প্রাপ্ত সালমান রাত ১১ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেছেন।। দগ্ধ কামরুল বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিচ্ছেন।”

জয়দেবপুর থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, গাজীপুরের কোনাবাড়ির একটি ক্লিনিক ও তাজউদ্দীন মেডিকেলে আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

তদন্তে জেলা প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের কমিটি

ঘটনার পরপর গাজীপুরের জেলা প্রশাসক দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হানুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কার্যদিবসের মধ্যে তারা প্রতিবেদন জমা দিবেন।

“নিহতদের প্রতি পরিবারকে লাশ দাফনের জন্য ২০ হাজার টাকা করে প্রদান ও শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে আহতদের চিকিৎসার খরচ দেওয়া হবে।”

ফায়ার ও সিভিল ডিফেন্সের সদর দপ্তরের স্টেশন অফিসার মো. আতাউর রহমান জানান, ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত কর্মদিবসে তাদের প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।