মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রাম থেকে সোমবার ভোরে তারা কামরানের লাশ উদ্ধার করেন বলে মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি সোহেল আহমদ জানান।
ওমান প্রবাসী ওই গ্রামের কয়েছ মিয়ার ছেলে কামরান স্থানীয় সরকারবাজার কিন্ডারগার্টেনে নার্সারিতে পড়ত। গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় সে।
এ ঘটনায় রোববার রাতে ও সোমবার সকালে তিনজনকে আটক ও ১১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে ওসি সোহেল জানিয়েছেন।
আটক তিনজন হলেন- আল-আমিন (২৬), তার বন্ধু রবিউল মিয়া (২৫) ও জনি মিয়া (২২)।
পলিথিন দিয়ে মুখে স্কচটেপ লাগিয়ে শ্বাসরুদ্ধ করে কামরানকে হত্যা করা হয়েছে বলে আল- আমিন পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন বলে জানান ওসি সোহেল।
মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার শাহজালাল বলেন, এ ঘটনায় ১ জুলাই লিটন মিয়া নামে তাদের এক আত্মীয় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসমি করে মৌলভীবাজার থানায় মামলা করেন।
“পরে মুক্তপণ দাবি করে যে নাম্বারে মোবাইল ফোন এসেছিল তা ট্র্যাকিং করে আল-আমিনকে পুলিশ আটক করে পুলিশ।”
জিজ্ঞাসাবাদে আল-আমিন কামরানকে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানান এসপি শাহজালাল।
তিনি বলেন, পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সাধুহাটি গ্রামের আমিনের ঘরের খাটের নিচে মাটি খুঁড়ে কামরানের গলিত লাশ উদ্ধার করা করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।