কাজ বন্ধ করে কালো ব্যাজ ধারণ করে সকাল ৯টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। দফায় দফায় সিটি করপোরেশনের সামনে বিক্ষোভও করেন তারা।
এদিকে, এ ঘটনায় গ্রেপ্তার সাদ্দাম হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের হেফাজতে (রিমান্ড) নেওয়ার আদেশ দিয়েছে আদালত।
সিটি করপোরেশনের আওয়ামী কাউন্সিলর পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বিকাল ৫টা পর্যন্ত কর্মবিরতি চলবে।
এরমধ্যে ইন্ধনদাতার সন্ধান দিতে না পারলে বিকাল ৫টায় সিটি করপোরেশনের সামনে সমাবেশ করে মেয়র মহোদয় পরবর্তী কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে জানান তৌহিদুল।
রোববার সন্ধ্যার আগে নিজ বাড়ির পাশে ঘরের সাজ নামে একটি আসবাবপত্রের দোকানে বসে গল্প করার সময় এক যুবক এসে তাকে কিল-ঘুষি মারতে মারতে চেয়ার থেকে মাটিতে ফেলে দেয়। এ সময় স্থানীয়রা সন্দেহভাজন হামলাকারী সাদ্দাম হোসেনকে (৩০) আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
এ ঘটনায় মেয়র বাদী হয়ে রোববার রাতেই কোতোয়ালি থানায় হত্যা চেষ্টা মামলা করেছেন।
রোববার রাতে পুলিশ সুপার তার বাসায় এসেছিলেন জানিয়ে মেয়র বলেন, “তাকে স্পষ্ট বলে দিয়েছি এ হামলার পেছনে কেউ না কেউ ইন্ধনদাতা রয়েছে। আজ বিকাল ৫টার মধ্যে তাকে খুঁজে বের করতে হবে। না হলে ৫টার পর সমাবেশ করে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।”
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আটক সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কী কারণে হামলা চালানো হয়েছে, এর পেছনে কারও ইন্ধন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান জানান, সকালে রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তারিক হাসানের আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিকালে শুনানি শেষে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।