শনিবার রাত ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ঝড়তোলা গুলশান হামলার প্রথম বার্ষিকীর দিন শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ভেড়ামারার তালতলা মসজিদের পাশে নাসিমা খাতুনের মালিকানাধীন বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়।
রাতেই ওই বাড়ি থেকে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী তিথি, এই জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজিবুল ওরফে রাশেদ ওরফে তালহার স্ত্রী সুমাইয়া এবং ভেড়ামারার ঠাকুর দৌলতপুরের আরমানের স্ত্রী টলি আরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকালে ওই বাড়ির চারপাশের ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার দিনভর বাড়িটি ঘিরে রাখার পর ঢাকা থেক কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যায় ফের অভিযান শুরু হয়।
রাত ১০টার দিকে অভিযান শেষ হওয়ার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর বলেন, ওই বাড়িতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক, সুইসাইডাল ভেস্ট, অস্ত্র ও গান পাউডার পাওয়া গেছে। সেখান থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।
এই শিশুদের একজন আইয়ুব বাচ্চু ও অপরজন আরমানের মেয়ে বলে জানান তিনি।
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাড়ির মালিক নাসিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার বিকালে নিজেদের হেফাজতে নেন তারা। গত বছরের নভেম্বর মাসে জঙ্গিরা বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল।
ভোররাতে তিন নারীকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের উপর আত্মঘাতী হামলার উপক্রম হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “একজন নারী সুইসাইডাল ভেস্ট পরিহিত অবস্থায় আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে আরও দুই জন মহিলাকে আটক করতে সক্ষম হই।”
এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান হাবিবুর রহমান।