‘নব্য জেএমবির আমির’র স্ত্রীর আস্তানায় ১০ কেজির বোমা

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জঙ্গি আস্তানায় ২২ ঘণ্টার অভিযানে কথিত নব্য জেএমবির আমির আইয়ুব বাচ্চু ওরফে সজীবের স্ত্রীসহ তিন নারীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উচ্চ ক্ষমতার বিস্ফোরক, সুইসাইডাল ভেস্ট ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2017, 06:04 PM
Updated : 1 July 2017, 07:29 PM

শনিবার রাত ১০টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান।

কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের তথ্যের ভিত্তিতে ঝড়তোলা গুলশান হামলার প্রথম বার্ষিকীর দিন শুক্রবার রাত ১২টার দিকে ভেড়ামারার তালতলা মসজিদের পাশে নাসিমা খাতুনের মালিকানাধীন বাড়িটি ঘিরে ফেলা হয়।

রাত ৩টার দিকে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও জেলা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান শুরু করে। অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন টেপিড পাঞ্চ’।

রাতেই ওই বাড়ি থেকে আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী তিথি, এই জঙ্গি সংগঠনের সেকেন্ড ইন কমান্ড রাজিবুল ওরফে রাশেদ ওরফে তালহার স্ত্রী সুমাইয়া এবং ভেড়ামারার ঠাকুর দৌলতপুরের আরমানের স্ত্রী টলি আরাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সকালে ওই বাড়ির চারপাশের ৫০০ গজের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করে স্থানীয় প্রশাসন।

শনিবার দিনভর বাড়িটি ঘিরে রাখার পর ঢাকা থেক কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের বোমা নিস্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর সন্ধ্যায় ফের অভিযান শুরু হয়।

এর আধ ঘণ্টা পর প্রথম এবং তার কিছুক্ষণ পর বিকট শব্দ বিস্ফোরণ ঘটে সেখানে।

রাত ১০টার দিকে অভিযান শেষ হওয়ার কথা জানিয়ে অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর বলেন, ওই বাড়িতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক, সুইসাইডাল ভেস্ট, অস্ত্র ও গান পাউডার পাওয়া গেছে। সেখান থেকে দুই শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এই শিশুদের একজন আইয়ুব বাচ্চু ও অপরজন আরমানের মেয়ে বলে জানান তিনি।

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বাড়ির মালিক নাসিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শনিবার বিকালে নিজেদের হেফাজতে নেন তারা। গত বছরের নভেম্বর মাসে জঙ্গিরা বাড়িটি ভাড়া নিয়েছিল।

“বাড়ির বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি ওজনের উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বিস্ফোরক দ্রব্য, দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, একটি পিস্তল, ম্যাগজিন ও গান পাউডার উদ্ধার করা হয়।”

ভোররাতে তিন নারীকে গ্রেপ্তারের সময় তাদের উপর আত্মঘাতী হামলার উপক্রম হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “একজন নারী সুইসাইডাল ভেস্ট পরিহিত অবস্থায় আমাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালিয়েছিল। তবে সেটি বিস্ফোরিত হওয়ার আগেই তাকে ধরে ফেলা হয়। পরে পর্যায়ক্রমে আরও দুই জন মহিলাকে আটক করতে সক্ষম হই।”

এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান হাবিবুর রহমান।