কেন্দুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জয়ের বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকালে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন কুদ্দুছ বয়াতী।
অভিযোগ বলা হয়েছে, শুক্রবার বয়াতীর ভাইয়ের ছেলে সাহাদৎ হোসেন রাজা কীটনাশক পান করে। দুপুরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
“এসময় তার চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সাইফুলের নিকট আকুতি-মিনতি করেও কোনো লাভ হয়নি। রাত সাড়ে ১১টার দিকে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় রাজাকে।”
রাজার মৃত্যুর পথযাত্রী বলে দাবি করে এতে আরও বলা হয়, “রাজার মৃত্যু হলে উক্ত ডাক্তারই দায়ী থাকবেন।”
অভিযোগ অস্বীকার করে সাইফুল ইসলাম জয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রাজা হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়েছেন। রাতে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
“আমার সঙ্গে রোগীর স্বজন যোগাযোগ করেছেন এটা মিথ্যা কথা।”
অভিযোগের তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে ওসি সিরাজুল বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে শিল্পী কুদ্দুছ বয়াতীকে।