শুক্রবার রাতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের টাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ভোলাব ফাড়িঁর ইনচার্জ শাহদাত হোসেন জানান।
শাহদাত হোসেন জানান, ঈদের দিন (সোমবার) টাওড়া মধ্যপাড়ার খাদেম আলীর ছেলে ইমন, কাদির মিয়ার ছেলে হাসান, ওসমান মিয়ার ছেলে সিফাত এবং সাদেক আলীর ছেলে রুবেলের সঙ্গে টাওড়া পশ্চিমপাড়ার অহিদুল্লার ছেলে মহসিন, আবুল হোসেনের ছেলে ঈসমাইল হোসেনের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
“এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে টাওড়া পশ্চিমপাড়ার আবুল হাসেমের মেয়ে সুলতানা আক্তার বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।”
শাহদাত আরও জানান, ওই সংঘর্ষের জের ধরে শুক্রবার রাত ৮টার দিকে টাওড়া পশ্চিমপাড়ার ৪০/৫০জন দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে টাওড়া মধ্যেপাড়ায় হামলা চালায়।
হামলাকারীরা মধ্যপাড়ার সাদেক মিয়ার দুইটি টিনশেড বসত ঘর, একটি পাওয়ালুম কারখানা, হাছান আলীর তিনটি টিনশেড বসত ঘর, খাদেম আলীর দুইটি টিনশেড বসত ঘর, একটি মনোহরীর দোকান, কাদির মিয়ার দুইটি টিনশেড বসত ঘর, রোমান মিয়ার দুইটি টিনশেড বসত ঘর, আমির হোসেনের একটি টিনশেড বসত ঘর ও হাবিবুল্লাহর দুইটি টিনশেড বসত ঘর ভাংচুর করে মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বাড়িঘর ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন রুবেল, কামরুল, ইসমাইল মিয়া, আকরাম, ইমন, সিফাত, মহসিন, ইসমাইল হোসেন, শফিক, আবুল হোসেন, সেলিনা আক্তার, তাছলিমা বেগম ও সেলিনা বেগম। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।