শুক্রবার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এরপর মধ্যরাতে কৃষ্ণসদা গ্রামের শতাধিক মানুষকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে বিজিবির বিরুদ্ধে।
এই ঘটনায় বিজিবির হাপানিয়া ক্যাম্পের হাবিলদার শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ৮৯ জনকে আসামি করে শনিবার সাপাহার থানায় একটি মামলা করেছেন।বিজিবি সাত জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে।
আহত এলাকাবাসীর মধ্যে রয়েছেন কৃষ্ণসদা গ্রামের বুলবুল হোসেনের স্ত্রী মাসকুরা খাতুন (৩৫), সামাদ আলীর স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন (৪০), ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), আলতাফ হোসেন (৭৩), বেড়াতে আসা পার্শ্ববর্তী আলাদিপুর গ্রামের মমিন (১০), আশরাফুল (৮)। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
চোরাকারবারীদের হামালায় আহত বিজিবি সদস্যরা হলেন নায়েক ফারুক হোসেন ও সিপাহী কামাল হোসেন। তাদেরকে হাপানিয়া বিজিবি ক্যাম্পে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁর ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খিজির খান বলেন, ভোরে চোরাকারবারীর একটি দল গরু নিয়ে ভারত থেকে আসার সময় হাপানিয়া ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা দুইটি গরুসহ সাত জনকে আটক করে। এসময় চোরাকারবারীরা দেশি অস্ত্র দিয়ে বিজিবির দুই সদস্যকে আহত করে।
তবে তিনি কৃষ্ণসদা গ্রামে মধ্যরাতে হামলা চালিয়ে নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষকে মারপিট ও নির্যাতনের কথা অস্বীকার করেছেন।
এরপর রাত ১টার দিকে অনেক বিজিবি সদস্য ওই গ্রামে ঢুকে ঘুমন্ত মানুষের উপর হামলা চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ শিশু, মহিলা, বৃদ্ধ, সকলকে লাঠিপেটা শুরু করে। শতাধিক গ্রামবাসী তাদের মারধরের শিকার হয়।
পরে বিজিবি সদস্যরা গ্রামের এখলাস আলীর ছেলে রুবেল (২৫), রহবুল আলীর ছেলে তসলিম (২৩), তার ভাই দশম শ্রেণির ছাত্র মুসলিম (১৪), বৃদ্ধ আব্দুস সামাদ (৮৫), তার ছেলে রায়হান আলী (১৫), ইউসুফ মণ্ডলের ছেলে সাহেব আলী (২৫), ইউসুফ কাপুড়িয়ার ছেলে হাবিবুল্লাহকে (২৩) ধরে থানায় সোপর্দ করে।
১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়ান অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল খিজির খান বলেন, সেখানে নির্যতন কিংবা মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। রাতে বিজিবি সদস্যরা দুইটি গরুসহ সাত চোরাকারবারীকে আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে।
এ বিষয়ে ২ নম্বর গোয়ালা ইউপি চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান মুকুল বলেন, রাতে বিজিবির সিও চোরাকারবারীর হামলায় বিজিবি সদস্য আহত হওয়ার বিষয়টি তাকে জানান; কিন্তু সকালে ক্যাম্প এলাকায় গিয়ে তিনি কৃষ্ণসদা গ্রামে বিজিবির হামলা ও নির্যাতনের বিষয়টি জানতে পারেন।