কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ‘ধর্ষণের পর’ হত্যা

কুমিল্লা সদরে এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে এক যুবককে ধরে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সদর উপজেলার চাঁনপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কুমিল্লায় মহিমা আক্তার (১২) ডুমুরিয়া চাঁনপুর এলাকার মহিউদ্দিনের মেয়ে।

আটক মো. ইউছুফ (২৫) কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার দয়াপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।

শুক্রবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এলাকাবাসী জানান, ইউছুফ দীর্ঘদিন যাবত চাঁনপুর এলাকায় সপরিবারে ভাড়া বাসায় থেকে আসছেন।  

মেয়েটির নানা দুলাল মিয়া বলেন, ইউছুফ বৃহস্পতিবার রাতে মহিমাকে ধর্ষণ করার পর হত্যা করে। মহিমার স্বজনরা তাকে না পেয়ে এলাকায় মাইকিং করে।

“রাত আনুমানিক সাড়ে ১২টার দিকে ইউছুফ নগরীর পুরাতন গোমতী নদীতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাকে আটক করে পিটুনি দেয়। পরে সে মহিমাকে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে।”

পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ইউছুফকে জনতার হাত থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেলে ভর্তি করে এবং পানি থেকে মহিমার মরদেহ উদ্ধার করে বলে জানান দুলাল।

কোতয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, ঘাতক ইউসুফকে স্থানীয়রা পিটুনি দেওয়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে নিহতের নানা দুলাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান ওসি।