ময়মনসিংহ মেডিকেলে আগুন: আরও দুই রোগীর মৃত্যু

দুদিন আগে আগুন লাগার সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আরও দুই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়াল।

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 June 2017, 07:05 PM
Updated : 29 June 2017, 07:06 PM

এদিকে আগুনের ঘটনা তদন্তে গঠিত সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বৃহস্পতিবার কমিটি প্রধান হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. আব্দুল গনির নেতৃত্বে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।

ঈদের পর দিন মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালের নতুন ভবনের পঞ্চম তলার আইসিইউতে আগুন লেগেছিল। এসময় লাইফ সাপোর্ট মেশিন পুড়ে যাওয়ায় ছয়জন রোগীকে উদ্ধার করে করোনারি কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে বুধবার নাগাদ সুরুজ মিয়া ও হেলাল উদ্দিন নামে দুজনের মৃত্যু ঘটে।

বৃহস্পতিবার নেত্রকোনার দুর্গাপুরের সখিনা (২০) এবং ময়মনসিংহের তারাকান্দার হাবিবুর রহমান(৩৬) আরও দুজন মারা যান বলে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. লক্ষ্মী নারায়ণ মজুমদার জানিয়েছেন।

বাকি দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধান ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে তিন কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটির সদস্যদের বৃহস্পতিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত আইসিইউ ইউনিট ঘুরে দেখতে দেখা যায়। কমিটির সদস্যরা বৈদ্যুতিক সরঞ্জামাদিসহ পুড়ে যাওয়া মূল্যবান যন্ত্রপাতি ও মেশিন দেখেন, ছবিও তোলেন।

তদন্ত কমিটি প্রধান আব্দুল গনি সাংবাদিকদের বলেন, প্রয়োজনে আরও সময় চাইবেন তারা।

নাম প্রকাশ করা হবে না শর্তে কমিটির এক সদস্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে না।”

আইসিইউর দায়িত্বে থাকা উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আ ন ম ফজলুল হক পাঠান বলেন, স্টোররুম থেকেই যে আগুনের সূত্রপাত সেটি নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা।

তদন্ত কমিটির সদস্য গণপূর্ত বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী তাওহীদুর রহমান বলেন, “আইসিইউর স্টোররুমের এসি (শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে মনে হচ্ছে।”

তবে ডা. পাঠান বলছেন, গত ৩ মাস ধরে স্টোর রুমের শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রটি নষ্ট ছিল।

বৃহস্পতিবার দেখা যায়, আগুনের পর থেকে বন্ধ রয়েছে আইসিইউ ইউনিটের কার্যক্রম। নতুন করে কোনো রোগী আইসিইউতে নেওয়া হচ্ছে না। ফলে ঝুঁকির মুখে পড়েছে হাসপাতালের সঙ্কটাপন্ন রোগীরা। তবে সহকারী পরিচালক লক্ষ্মীনারায়ণ মজুমদার বলেছেন, আইসিইউ সচল করতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ২/১ দিনের মধ্যে সচল করা সম্ভব হবে আইসিইউ ওয়ার্ড।