ময়মনসিংহে অন্তঃসত্ত্বাকে গাছে বেঁধে নির্যাতন

জমির বিরোধে ময়মনসিংহের নান্দাইলে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে তার প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম জানান, ঈদের পরের দিনে উপজেলার রাজগাতী ইউনিয়নের দক্ষিণ কয়রাটি গ্রামের ওই ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার গৃহবধূ কল্পনা আক্তারের স্বামী সিরাজুল ইসলামের করা মামলায় আবুল কাশেম ও রবিউল নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

দক্ষিণ কয়রাটি গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, সিরাজুল আড়াই বছর আগে প্রতিবেশী রবিউল আওয়াল, সাইফুল ইসলাম ও দ্বীন ইসলামের কাছে পাঁচ শতক জমি বিক্রি বাবদ এক লাখ বিশ হাজার টাকা নেয়। এরপর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও কল্পনা এবং তার স্বামী জমির দলিল করে দেয়নি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই জমির দখল চাইতে গেলেই কল্পনা ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। এ নিয়ে গ্রামে একাধিক সালিস-বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি। মঙ্গলবার তারা আবারও জমি দখল করতে গেলে কল্পনা দা নিয়ে তেড়ে আসে। বিকালে তারা কল্পনাকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি নিয়ে মারধরও চুল ধরে টেনে নির্যাতন করে। 

পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে গৃহবধূকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। বাকি ছয় আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে।

স্থানীয় একটি হাসপাতালে গৃহবধূর চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম।