কাশিয়ানী থানার ওসি এ কে এম আলীনূর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার গেড়াখোলায় হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন - বাগেরহাটের হালিম আকন (৪০), তার স্ত্রী আসমা বেগম (৩৫), ছেলে সুজন (১৭) ও শিহাব (৮), শ্যালক বাদশা ফরাজি (৩৭) ও অজ্ঞাতপরিচয় চালক।
সৌদি প্রবাসী হালিম দেশে ফেরার সময় ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে তাকে আনতে গিয়েছিল পরিবারের সদস্যরা।
হালিম বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার সাউথখালি ইউনিয়নের খুড়িয়াখালি গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সেবা গ্রিনলাইনের একটি বাস গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়।
দুর্ঘটনায় আহত অন্তত ১০ জনকে মকছেদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ আশপাশের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, মাইক্রোবাসটি বাসের নিচে চাপা পড়েছে। ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে মাইক্রোবাস ও কয়েকটি লাশ। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস ও হাইওয়ে পুলিশ ঘটনার পরপরই উদ্ধারকাজ শুরু করে।
হালিমের বড় ভাই মতিয়ার রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ভাই হালিম দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থাকত। ঈদের ছুটিতে বাড়ি আসছিল।
“তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও শ্যালক তাকে বিমান বন্দরে আনতে গিয়েছিল। সেখান থেকে মাইক্রোবাস ভাড়া করে তারা বাড়ি ফিরছিল।”
সাউথখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, “এক পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এমন ঘটনায় শোক প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই।”
দুর্ঘটনার কারণ জানাতে পারেনি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মাইক্রোবাসটি উল্টো পাশ দিয়ে চলছিল। বাস তাকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মাইক্রোবাসটি সদর পাশে যাওয়ার চেষ্টা করলে দুর্ঘটনা ঘটে।