ঈদের পরদিন মঙ্গলবার সাফারি পার্কে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। ঈদের দিনও ১০/১২ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম হয় বলে জানায় পার্ক কর্তৃপক্ষ।
ঈদের দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দর্শনার্থীদের সংখ্যা আগের দিনের মোট সংখ্যাকেও ছাড়িয়ে যায় বলে জানান পার্কের রেঞ্জার মো. মোতালেব হোসেন।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, অধিকাংশ দর্শনার্থীদেরই ‘কোর সাফারি পার্ক’-এ ভিড় করতে দেখা গেছে।
এসব প্রাণী দেখতে নির্ধারিত ফি দিয়ে দর্শনার্থীদের পার্কের নির্ধারিত মিনিবাস/ গাড়িতে চড়ে যেতে হয়। গাড়ি ছাড়া কোর সাফারি পার্কের ভেতর কোনো দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না।
তবে কম গাড়ি আর জনবল সঙ্কটের পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কের অভাবে দর্শনার্থীদের প্রতিনিয়িত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
কোর সাফারি পার্কে দর্শনার্থীদের তুলনায় গাড়ির সংখ্যা খুবই কম বলে স্বীকার করেন রেঞ্জার মোতালেব হোসেন।
তিনি বলেন, “পার্কে এখন দর্শনার্থীদের জন্য ২৮ আসনের ছয়টি মিনিবাস রয়েছে। গাড়ির সংখ্যা কমপক্ষে বর্তমানের দ্বিগুণ করা দরকার। পরিবহন সঙ্কটের কারণে সাফারি পার্কের একাংশ দেখতেই দর্শনার্থীদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়।”
প্রতিদিন পার্কের বিভিন্ন বন্যপ্রাণীর নৈপূণ্য ও বন্যপ্রাণীর খেলাধুলা দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার দর্শনার্থী। পর্যবেক্ষণ টাওয়ারে উঠে দর্শনার্থীরা সুবিশাল সবুজ প্রকৃতি দেখতেও ভিড় জমায়।
কর্তৃপক্ষের ভাষ্য, পার্কের এতসব আয়োজন দেখভালের জন্য ২০০ জনবল দরকার, যেখানে রয়েছে প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম, মাত্র ৪৭ জন কর্মচারী।
ছুটির বিশেষ দিনগুলোতে ব্যাপক জন সমাগম ছাড়াও স্বাভাবিক সময়েও প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার দর্শনার্থী সাফারি পার্কে আসেন বল জানান রেঞ্জার মোতালেব।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে লোকবল চেয়ে পার্কের প্রকল্প কর্মকর্তা তপন কুমার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে গেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত লোকবল নিয়োগ হয়নি।
“তাছাড়া এখানকার গভীর বনাঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক খুব দুর্বল। ফলে দর্শনার্থী ও পার্কের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বাইরে যোগাযোগ করতে খুবই বিড়ম্বনায় পড়তে হয়।”
এসব বিষয়ে অগ্রগতির বিষয়ে জানতে ঈদ ছুটির কারণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কোনো কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।