সোমবার ঈদের দিন সন্ধ্যায় উপজেলার ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এ ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে মির্জাগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মিলন মিত্র জানিয়েছেন।
নিহত জাফর হাওলাদার (৩০) ওই গ্রামের মুসাই হাওলাদারের ছেলে। তার লাশ উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
নিহতের বড় ভাই শহীদ হাওলাদার (৪০), তার স্ত্রী রীনা বেগম (৩২), তাদের ছেলে রিফাত (১৩) ও মেজ ভাই হাবিব হাওলাদার (৩৫) এবং অপর পক্ষের মো. আলমগীর হোসেনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তাদের মধ্যে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে পরিদর্শক মিলন জানান।
মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মনির হোসন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, জাফর হাওলাদারের মহিষ ছাড়া পেয়ে তার চাচাতো ভাই মালেক হাওলাদারের ক্ষেত নষ্ট করলে দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়।
এর জের ধরে মালেকের লোকজন সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে জাফরের বাড়িতে হামলা চালায় এবং কুপিয়ে ও পিটিয়ে বেশ কয়েকজনকে জখম করে।
আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার সময় জাফরের মৃত্যু হয় বলে জানান ওসি।