সাতক্ষীরায় মুস্তাফিজ-সৌম্যর ঈদ

বন্ধু-বান্ধব ও আপনজনদের সঙ্গে সাতক্ষীরায় ঈদের দিন পার করেছেন জাতীয় দলে খেলা এ জেলার দুই ক্রিকেটার মুস্তাফিজুর রহমান ও সৌম্য সরকার।

শরীফুল্লাহ কায়সার সুমন সাতক্ষীরা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 June 2017, 10:47 AM
Updated : 26 June 2017, 12:43 PM

কালিগঞ্জ উপজেলার তারালি ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে বাড়ির পাশে নতুন নির্মিত একটি ঈদগাহে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের নামাজ পড়েছেন বোলার মুস্তাফিজ।

আর মুসলমানদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের সময়ে এলাকার সব বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াকে ‘ঈদের বড় প্রোগ্রাম’ বলছেন ব্যাটসম্যান সৌম্য।

ক্রিকেট ব্যস্ততার কারণে ইদানিং গ্রামের বাড়িতে আসার সুযোগ খুব একটা মেলে না জাতীয় দলে জায়গা করে নিয়েই ‘কাটার মাস্টার’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠা মুস্তাফিজের। এবারের ঈদুল ফিতর সেই সুযোগটাই এনে দিল।

সোমবার ঈদ জামাতে হাসিমুখে হাজির হন মুস্তাফিজ। জামাতে বন্ধুদের সঙ্গে অংশ নিয়ে কোলাকুলি করেন সবার সঙ্গে।

 

বৃষ্টিস্নাত ঈদ জামাত শেষে পরিবারের সবার সঙ্গে সময় কাটান তিনি। গ্রামের ছোট ছোট বাচ্চাদের সঙ্গে আনন্দময় সময় কাটানোর পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলছেন।

বরাবরের মতোই কম কথাতেই দেশবাসীর দোয়া চেয়ে সবাইকে শুভেচ্ছা জানান মুস্তাফিজ।

মায়ের হাতের রান্না খেতে খুব পছন্দ মোস্তাফিজের।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “মা যা রান্না করে, তাই ভাল লাগে।”

বাবা আবুল কাসেম বলেন, “ওর মায়ের হাতে রান্না দেশি মুরগি আর গরুর মাংস খুব পছন্দ করে মুস্তাফিজ।”

ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত মুস্তাফিজ আইপিএল খেলে ভারত থেকে ফেরার পর চলে যান আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে। এর পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আশানুরূপ ভালো করতে না পারা এ বোলার ক্রিকেট নিয়ে কোনো কথা বললেন না।শুধু শুভেচ্ছা বিনিময়, ‘কেমন আছেন, ভাল আছি’ আর হাসি আনন্দে স্বজনদের আপ্যায়ন করেই বন্ধু বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটান।

সাতক্ষীরা ছেড়ে কবে ঢাকায় যাবেন- তাও বলতে পারলেন না কাটার মাস্টার। শুধু বললেন পরে কথা হবে।

বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ‘ঈদের বড় প্রোগ্রাম’ সৌম্যর

ঈদের দুদিন আগে সাতক্ষীরার বাড়িতে এসেছেন সৌম্য সরকার; ঈদের আগে অনেকটা চুপচাপ থাকলেও ঈদের দিনে বন্ধুদের সঙ্গে হৈ-হুল্লোড়ে পার করার কথা বললেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান।

সৌম্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বড় উৎসব ঈদকে তো আর হালকাভাবে নেওয়া যাবে না। তাই বাইক নিয়ে হরদম ঘুরব আর বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেব।”

প্রতি ঈদেই বন্ধুদের সময় দেওয়া বড় একটি কাজ সৌম্যর। ঈদের ছুটির পাশাপাশি সাতক্ষীরায় এদিনটিতে বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়া- সব মিলিয়ে বাড়িতে এসে কোনো প্র্যাকটিস করতে চাচ্ছেন না তিনি।

ছুটিটাকে ঠিকঠাক উপভোগ করতে আগের দিন রোববার রথযাত্রা দেখতে গিয়েছিলেন। গিয়েছিলেন গ্রামের বাড়ি আশাশুনিতেও।

 

ঈদের পরের দুইদিন সৌম্য বাড়িতে থাকবেন জানিয়ে তার বাবা সদ্য অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার কিশোরী মোহন সরকার বলেন, এ দুইদিন ও পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবে।

এদিকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন স্থানে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়েছে ঈদুল ফিতর।

সোমবার সকাল ৮টায় সাতক্ষীরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সাতক্ষীরার জেলা প্রশাসক আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন, অধ্যাপক কাজী মুহম্মদ অলিউল্লাহ, অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম, দৈনিক কাফেলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক রফিক উজ্জ্বল, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ নিজাম উদ্দীন, কেন্দ্রীয় ঈদগাহ কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক বকুল, সাতক্ষীরা আহ্ছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ আজিজুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।