মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে শতাধিক গ্রামে ঈদ

প্রতি বছরের মতো মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে এবারও ঈদুল ফিতর উদযাপন করছেন দেশের বিভিন্ন এলাকার শতাধিক গ্রামের মানুষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2017, 03:31 AM
Updated : 25 June 2017, 08:37 AM

রোববার চাঁদ দেখা গেলে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মুসলিম ঈদ উদযাপন করবেন সোমবার।বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরবের একদিন পর চাঁদ দেখা যায় বলে ঈদও হয় একদিন পর।

তবে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের মানুষ রোববার ঈদ উদযাপন করছে।

বাংলাদেশের কয়েকটি জেলার এসব গ্রামের বিভিন্ন পীরের অনুসারীরা বরাবরই রোজা, ঈদ, শবে-বরাত, শবে-মেরাজসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে পালন করে আসছেন।

বিভিন্ন জেলা থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-

মৌলভীবাজার

মৌলভীবাজারে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন ১০টি গ্রামের দেড় শতাধিক মানুষ।

শহরের সার্কিট হাউস এলাকার আহমেদ শাবিস্তার বাসার ছাদে রোববার সকাল সোয়া ৭টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন এলাকার নারী ও পুরুষ নামাজ আদায় করেন।

নামাজে ইমামতি করেন আব্দুল মাওফিক চৌধুরী (পীর সাহেব উজান্ডি)। গত নয় বছর ধরে তারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে ঈদের নামাজ আদায় করে আসছেন।

দিনাজপুর

দিনাজপুরের পাঁচটি উপজেলায় ঈদ উদযাপন করছে প্রায় দুই হাজার পরিবার। এর মধ্যে সদর, চিরিরবন্দর, পার্বতীপুর, কাহারোল এবং বিরল উপজেলার কিছু অংশ রয়েছে।  

শহরের বাসুনিয়াপট্টি এলাকার একটি কমিনিটি সেন্টারে রোববার সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে নারী-পরুষসহ প্রায় দুই শত মানুষ অংশ নেন।

নামাজে মামুনুর রশিদ ইমামতি করেন।

লক্ষ্মীপুর

মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ১১টি গ্রামে ঈদ হয়েছে।

রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও, জয়পুরা, বিঘা, বারো ঘরিয়া, হোটাটিয়া, শারশোই, কাঞ্চনপুর এবং রায়পুর উপজেলার কলাকোপা গ্রামসহ অন্যান্য গ্রামের সহস্রাধিক মানুষ ঈদের নামাজ পড়েন।

রামগঞ্জের নোয়াগাঁও বাজারের তালিমুন কোরান নূরানী মাদ্রাসা মাঠে সকাল ১০টায় ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন মাওলানা আমিনুল ইসলাম।

মাওলানা ইসহাকের অনুসারী হিসেবে এসব এলাকার মানুষ গত ৩৭ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করে আসছেন।

 

চট্টগ্রাম

সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সাথে মিল রেখে চট্টগ্রামের কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা ঈদ পালন করছেন।

সাতকানিয়া উপজেলার মির্জা খীল দরবার শরিফের হজরত শাহ জাহাগীরের অনুসারীরা ঈদের নামাজ আদায় করেন।

দরবার শরিফে রোববার সকাল ১০টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।এতে পীরের অনুসারী কয়েক হাজার লোক অংশ নেন।

সাতাকনিয়া ছাড়াও চন্দনাইশ, পটিয়া, বাঁশখালী, লোহাগাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের লোকজন এ ঈদের জামাতে অংশ নেন।

চন্দনাইশের সাতবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের চিকিৎসক সারোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, মির্জা খীল দরবারের অনুসারীরা কয়েকশ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল ফিতর ছাড়াও অন্যান্য ধর্মীয় উৎসব পালন করে থাকেন।

মাদারীপুর

মাদারীপুরে ৩০টি গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করছেন। তারা হজরত সুরেশ্বরী (র.)-এর ভক্ত ও অনুসারী।

মাদারীপুর সদর উপজেলার চরকালিকাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ ও কালকিনির আন্ডার চরখানকা শরিফ মাঠে রোববার সকাল ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

চরকালিকাপুরে ঈদের নামোজে ইমামতি করেন আবুল হাসেম মিয়া। আর মোকসেদ মিয়া আন্ডারচর মাঠের জামাতে ইমামতি করেন।