শনিবার উপজেলার বরপা এলাকা ও শুক্রবার রাতে সদর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণখালী
এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে রূপগঞ্জ থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান।
নিহতরা হলেন ফরিদপুরের সদরপুর থানার আমিরাবাদ এলাকার মৃত তাছের হাওলাদারের ছেলে।মিলন হাওলাদার (৩৫) ও উপজেলার ব্রাহ্মণখালীর এলাকার কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. উজ্জল (৩২)।
মিলন বরপা এলাকায় থেকে স্থানীয় অন্তিম গার্মেন্টে শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন বলে জানিয়েছেন রূপগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জুবায়ের মৃধা।
তিনি বলেন, বরপা এলাকার নাসিরের মেয়ের জামাই মোজাম্মেলের ভাড়া বাড়ির একটি কক্ষে থাকতেন মিলন। কক্ষটি দুইদিন ধরে তালাবদ্ধ দেখে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়াদের সন্দেহ হলে তারা মিলনের চাচাত ভাই রুবেলকে খবর দেয়।
“তিনি এসে তালা ভেঙ্গে ভাইয়ের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ হাত পা বাঁধা মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।”
দুই দিন আগেই দুর্বৃত্তরা মিলনকে হাত-পা বেঁধে হত্যার পর ঘর তালাবদ্ধ করে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করছেন এসআই জুবায়ের।
জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে শুক্রবার রাতে উজ্জলকে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
ওসি ইসমাঈল বলেন, জমি নিয়ে ব্রাহ্মণখালী এলাকার হযরত আলীর সঙ্গে বিরোধ ছিল উজ্জ্বলের। এই বিরোধের জেরে শুক্রবার রাতে মোবাইল ফোনে তাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়।
“তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে এলে হযরত আলী পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন উজ্জ্বলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।”
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে তার মৃত্যু হয় বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করেছে।