পাটুরিয়া ঘাটে বাসের চাপ

ঈদযাত্রায় মানিকগঞ্জের শিবালয়ের পাটুরিয়া ঘাটে যাত্রীবাহী বাসের চাপ বাড়ছে। অন্যদিকে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ ছোট যানবাহনের চাপ কমতে শুরু করেছে।

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 June 2017, 04:33 PM
Updated : 23 June 2017, 05:38 PM

শুক্রবার ভোর থেকে পাটুরিয়ায় ঘাটে ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।

দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার মানুষ মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া নৌপথ হয়ে যাতায়াত করে থাকেন।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের কর্মকর্তা, যাত্রী ও যানবাহন শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার ভোর থেকে প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ বেড়ে যায় পাটুরিয়া ঘাট এলাকায়।

সকাল ১০টার দিকে এসব ছোট গাড়ির দীর্ঘ সারি নালী-টেপড়া সড়কের প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে।

ছোট গাড়ি সাধারণত পাঁচ নম্বর ফেরিঘাট দিয়ে পারাপার করা হয়।

শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত ঘাটে যাত্রীবাহী বাস তেমন একটা ছিল না। এ কারণে এ সময়ে পাটুরিয়ার চারটি ঘাটের তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ঘাট দিয়ে মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার পারাপার করা হয়। বেলা ১২টার দিকে ছোট গাড়ির চাপ কমে আসলেও বাড়তে থাকে যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা।

বেলা আড়াইটা দিকে এসব বাস ঘাট এলাকা ছেড়ে পাটুরিয়া-উথলী সড়কের নবগ্রাম পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে পড়ে।

বেলা ৩টার দিকে পাটুরিয়া ফেরির টিকিট কাউন্টারের কাছে আটকে থাকা যশোরগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রী আলমাছ সরকারের সঙ্গে কথা হয়।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে যাচ্ছেন। এক ঘণ্টা আটকা থাকার পরও ফেরির নাগাল পাননি। প্রচণ্ড ভ্যাপসা গরমে শিশুসন্তানকে নিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন।

যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিসির কর্মকর্তারা দায়িত্ব পালন করছেন।

মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান বলেন, ঈদ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার থেকে মানিকগঞ্জে অংশে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কসহ পাটুরিয়া ঘাটে প্রায় ছয়শ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। ঘাট এলাকায় যানজট নিরসনে যানবাহনগুলোকে সুশৃঙ্খলভাবে ফেরিতে উঠতে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি থানার পুলিশ সদস্যও যুক্ত হয়েছেন।  

“পকেটমার, মলম কিংবা অজ্ঞানপার্টির হাত থেকে রক্ষায় পুলিশ কাজ করছে। এ ছাড়া ইঞ্জিনচালিত ট্রলারে যাত্রা পারাপার বন্ধেও নৌপুলিশ কাজ করছে।”

যাত্রী, যানবাহনের চালক ও ঘাটসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার অধিকাংশ পোশাককারখানাগুলো ছুটি হওয়ার কথা। শনিবার সকাল থেকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যানবাহনের চাপ আরও বাড়বে। এতে যানজটে যাত্রীদের আরও ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।

বিআইডব্লিউটিসির আরিচা কার্যালয়ের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, স্বাভাবিক অবস্থায় দুই থেকে আড়াই হাজার যানবাহন পারাপার করা হয়। তবে ঈদের আগে ও পরে এর ‍দ্বিগুণ যানবাহন পারাপার করা হয়।

শুক্রবার পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে নয়টি রো রোসহ (বড়) মোট ১৮টি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, শুক্রবার বেলা ১টার পর পাটুরিয়ায় যানবাহনের চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে ১৮টি ফেরি সচল এবং প্রাকৃতিক পরিস্থিতি অনুকূলে থাকলে দুর্ভোগ ছাড়াই মানুষ বাড়িতে যাবে।