শুক্রবার সকালে গোবিন্দ সরেনকে (১৫) ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
গোবিন্দ রাজশাহীর তানোর উপজেলার তাঁতিহাট এলাকার সুশীল সরেনের ছেলে।
কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বলেন, সকাল ১০টার দিকে কেন্দ্রের দ্বিতীয়তলায় সিঁড়ি ও মসজিদের পাশে ফাঁকা জায়গায় গ্রিলের সঙ্গে নিজের গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস দেয় গোবিন্দ।
“অন্য কিশোরদের কাছ থেকে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়।”
তবে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক কল্লোল কুমার সাহা বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই গোবিন্দর মৃত্যু হয়েছে। কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট ছাড়া বলা যাবে না।
যশোর কোতয়ালি থানার ওসি আজমল হুদা বলেন, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন করেছে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক শাহাবুদ্দিন জানান, গোবিন্দ রাজশাহীর তানোর থানার একটি হত্যাপ্রচেষ্টা মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ১৪ জুন এখানে আসে। সে এখানে কারো সঙ্গে মিশত না।
শাহাবুদ্দিন জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রবেশন অফিসার মাসুদ বিল্লাহ মোবাইল ফোন থেকে মায়ের সঙ্গে কথা বলে গোবিন্দ। ওই সময় মা তাকে তিন মাস পর আইনি সহায়তায় ছাড়িয়ে নিয়ে যাবেন বলেছিলেন।
ছাড়া পেতে আরও দেরি হবে বলে সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে বলে ধারণা করছেন শাহাবুদ্দিন।