বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের এ সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়। ফলে ঈদকে সামনে রেখে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ দুর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেল।
মাগুরার শালিখা উপজেলার সীমাখালীতে চিত্রা নদীর উপর নির্মিত এ সেতুটি চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পাথরবোঝাই দুইটি ট্রাকসহ ভেঙে পড়ে।
সেতুটি ভেঙে পড়ার ফলে ঢাকাসহ দেশের অন্য জেলার সাথে যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরা, বেনাপোলগামী যানবাহনকে ঝিনাইদহ হয়ে অতিরিক্ত ৪০ কিলোমিটার বেশি পথ পাড়ি দিয়ে যাতায়াত করতে হত। আর মাগুরা-যশোরসহ আন্তঃজেলার যাত্রীরা নদীর উপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পার হয়ে লোকাল বাস ও নসিমন, করিমনে চলাচল করত।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টায় সংযোগ সড়কসহ নবনির্মিত বেইলি সেতুর একটি লেন যানবাহন চলাচলে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
“তারা প্রায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করতে পেরেছেন।”
শালিখা উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শ্যামল কুমার দে বলেন, দেরীতে হলেও বিকল্প বেইলি সেতু তৈরি করে সড়ক যোগাযোগ সচল করায় ঈদমুখী ঘরে ফেরা মানুষ ভোগান্তির হাত থেকে রক্ষা পেল।
সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এইচ অ্যান্ড আর জেবিসি অংশীদার রানা আমির ওসমান বলেন, এ ধরনের সেতু তৈরিতে কমপক্ষে ছয়মাস সময় লাগে। কিন্তু সময় মত অর্থ বরাদ্দ না পেয়েও প্রায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব করতে পেরেছেন।