বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই লঞ্চ ও স্পিড বোটে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। কোথাও থেকে অপ্রীতিকর কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসন ৭০টি পদক্ষেপ নিয়েছে।
এসব পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে - কাঁঠালবাড়ি ঘাটে সিসি টিভি স্থাপন, যাত্রীর চাপ বেশি হলে ফেরিতে পারাপার, পদ্মায় পুলিশ টহল জোরদার, স্পিড বোটে সন্ধ্যার পর পারাপারে নিষেধাজ্ঞা, আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সার্বক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা প্রভৃতি।
বিআইডব্লিউটিএর কাঁঠালবাড়ী ঘাটের টার্মিনাল পরিদর্শক এবিএস মাহমুদ বলেন, যেহেতু বর্ষা মৌসুম, তাই সতর্কতার সঙ্গে লঞ্চ চালানোর দিকে যথাযথ নজর রাখা হবে। ঈদের জন্য ৮৬টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী না নেওয়ার জন্য তদারকের ব্যবস্থাও হয়েছে।
ঈদ উপলক্ষে এ নৌপথের ১৯টি ফেরির সব কটি চালু রাখা হয়েছে জানিয়ে বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া বলেন, বৈরী আবহাওয়া দেখা দিলে ফেরিতেও যাত্রী পার করা হবে।
কাঁঠালবাড়ি স্পিড বোট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন এ বছর ঈদের জন্য ভাড়া বাড়ানো হয়নি বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, অন্য সময়ের মতোই ঈদেও ভাড়া থাকবে ১২০টাকা। আর নিরাপত্তার জন্য সবাইকে লাইফ জ্যাকেট পরানোর ব্যবস্থা আছে। যাত্রীরা সচেতন থাকলে কোনো সমস্যা হবে না।
ঈদে এই নৌপথের নিরাপত্তা বিষয়ে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়ায়ও বিভিন্ন প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জায়েদুল আলম।
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাট আসন্ন ঈদে নিরাপদ পারাপারের জন্য প্রস্তুত। ঘাট থেকে যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট না পরিয়ে কোনো স্পিড বোট ছাড়তে দেওয়া হবে না। অতিরিক্ত যাত্রী কোনো নৌযানে বহন করতে দেওয়া হবে না।
“রোজার মাসে দিনের বেলা খাওয়া-দাওয়ার দরকার নাই। তাই হকারেরও প্রয়োজন নাই। হকারমুক্ত এলাকা করতে হবে। কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা বরদাশত করা হবে না। ঘাটে কোনো অবস্থাতেই কোনো প্রকার চাঁদাবাজি সহ্য করা হবে না।”
শিমুলিয়া ঘাটে যাত্রীদের নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসারসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাঁচ শতাধিক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এছাড়া সাদা পোশাকে ডিবি, পুলিশের বিশেষ শাখাসহ র্যাব সদস্যরা কাজ করবেন।
“মলম পার্টিসহ সব দুর্বৃত্তকে নজর রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ঈদযাত্রা নিরাপত্তা ও যানজট নিরসনে পুলিশ এবার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।”