নাসিরনগর হামলা: ‘হোতা’ আঁখি ফের কারাগারে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলার ‘অন্যতম হোতা’ আতিকুর রহমান আঁখিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 June 2017, 02:36 PM
Updated : 20 June 2017, 04:21 PM

মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুখ্য বিচারিক হাকিম মনির কামালের আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আঁখি নাসিরনগর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছিলেন। এ হামলার ঘটনায় দায়ের চারটি মামলার আসামি তিনি। প্রথমবার গ্রেপ্তারের পর তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক মাহাবুবুর রহমান জানান, গত ১২ মে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে কারামুক্ত হয়েছিলেন আঁখি। গত ১৩ মার্চ বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের বেঞ্চে আঁখি জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে ২২ মার্চ চার সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিন দেয় আদালত।

তবে তার বিরুদ্ধে দায়ের মামলার নম্বর ও ধারা বিভ্রাটের কারণে তিনি ১২ মে কারামুক্ত হন বলে পরিদর্শক মাহবুবুর জানান।

ফেইসবুকে ‘ইসলাম অবমাননার’ ছবি পোস্ট করার অভিযোগে গত বছরের ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় ১৫টি মন্দিরসহ হিন্দুদের শতাধিক ঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়।

এরপর ৪ নভেম্বর ভোরে ও ১৩ নভেম্বর ভোরে আবার উপজেলা সদরে হিন্দুদের অন্তত ছয়টি ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এসব ঘটনায় নাসিরনগর থানায় পৃথক আটটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাগুলোতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাসহ ১২২ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর মধ্যে আঁখি ছাড়া সবাই জামিনে মুক্ত আছেন। ঘটনার প্রায় আট মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ এখনও মামলার অভিযোগপত্র দিতে পারেনি।

হামলায় আঁখির সম্পৃক্ততার বিষয়টি উঠে আসে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের অনুসন্ধানে।

ঘটনায় আঁখির সম্পৃক্ততার খবর প্রকাশ পাওয়ায় গা ঢাকা দেন তিনি। গত ৫ জানুয়ারি ঢাকার ভাটারা থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। পরে কয়েক দফায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

গত ১৫ জানুয়ারি আঁখিকে হরিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ।