পিলকুনি এলাকার এন টি অ্যাপারেলস গামের্ন্টে মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউদ্দিন জানান।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালে পঞ্চাশজনেরও বেশি চিকিৎসা নিয়েছেন, যাদের অধিকাংশই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বাকিরাও সুস্থ হয়ে উঠবেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আসমা বেগম ও সাদিয়া সুলতান বলেন, মঙ্গলবার সকালে কারখানায় কাজে যোগ দেওয়ার পর প্রথমে আট শ্রমিকের পাতলা পায়খানা হয়।
আসমা বেগম বলেন, “পরে কারখানা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে কারখানার অর্ধশতাধিক শ্রমিক গণ হিস্টোরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়ে।”
পরে তাদেরও চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে পাঠানো হয় বলে জানান তারা।
“তাদেরকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হলে খবর শুনে আতঙ্কে আরও অর্ধশত শ্রমিক ‘গণহিস্টোরিয়ায়’ আক্রান্ত হয়।”
নারায়ণগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো.আসাদুজ্জামান বলেন, সকালে পেটের ব্যাথা নিয়ে সাত-আটজন শ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। পরে আরও প্রায় ৫০ জন অসুস্থ শ্রমিক আসেন।
“তারা গণহিস্টোরিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। অধিকাংশই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”