ঈদের আগে টাঙ্গাইলে মহাসড়কে উচ্ছেদ অভিযান

ঈদ সামনে রেখে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যানজটের ‘প্রধান উৎপত্তিস্থল’ ও উত্তরের প্রবেশপথ টাঙ্গাইলের এলেঙ্গায় উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধ সব দোকানপাট ও অটোরিকশার গ্যারেজ।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিএম এ রাজ্জাক, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 June 2017, 07:15 AM
Updated : 16 June 2017, 07:15 AM

কালিহাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু নাসার উদ্দিন জানান, সড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য বৃহস্পতিবার বিকালে এই উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের বিপুল সংখ্যক যান চলাচল করে। ঈদের সময় চাপ আরও বাড়ে।

টাঙ্গাইল জেলা পুলিশের পরিদর্শক মো. সহিদুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ বঙ্গের ২০টি জেলাসহ জামালপুর, শেরপুরের প্রায় ১৮ হাজার যান প্রতিদিন আপ-ডাউন করে।

“আর ধেরুয়া রেলক্রসিংয়ে ১২টি ট্রেনের জন্য দিনে ২৪ বার রাস্তা বন্ধ করা হয়। চার লেনের কাজের জন্য অনেক জায়গায় খানাখন্দ সৃষ্টি হয়েছে। এসব কারণে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত অন্তত ৪৫ কিলোমিটারে, বিশেষত পাকুল্লা, জামুর্কী, করটিয়া, পৌংলী ও এলেঙ্গায় প্রায়ই গাড়ি চলে ধীরগতিতে।”

এই পরিস্থিতিতে ঈদ সামনে রেখে প্রশাসন যান চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “যানজটের প্রধান উৎপত্তিস্থল এলেঙ্গা থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে অবৈধ সব দোকানপাট ও অটোরিকশার গ্যারেজ।

“এছাড়া মহাসড়কে ইউটার্ন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঈদের তিন দিন মহাসড়কে ট্রাক চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য পুলিশকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”

তবে এখনও যান চালকেরা নিশ্চিত নন মহাসড়ক যানজটমুক্ত থাকবে কিনা।

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মীর লুৎফর রহমান লালজু বলেন, চার লেইনের কাজের কারণে সৃষ্ট খোঁড়াখুঁড়ি এবং আগে থেকেই সড়কের অবস্থা ভালো না থাকায় এ বছরও ঈদে যানজট থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. মাহবুব আলমের কণ্ঠেও একই আশঙ্কা।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, ঈদ বা কোনো উৎসবের আগে-পরে মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যান চলাচল বেড়ে যায়। ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি যাত্রী নিয়ে চলাচল করে অনেক যানবাহন। চার লেইনের খোঁড়াখুঁড়ি তো আছেই।

“তার ওপর হঠাৎ বৃষ্টি ও দুর্ঘটনার কারণে যানজট দেখা দেয়। যাত্রীদের যাতে দুর্ভোগ পোহাতে না হয় সেজন্য জেলা পুলিশ ও হাইয়ে পুলিশ রাস্তায় দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছে।”