শ্রীপুর উপজেলার মধুপুরের দশরথ বিশ্বাসের ছেলে গোপাল বিশ্বাস (২৫) পুলিশের কাছে এ হত্যার করা স্বীকার করেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এছাড়া হত্যার দায় স্বীকার করে বিচারিক হাকিম আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দেন তিনি।
গত শনিবার নিজ গ্রামে খুন হন মধরথ বিশ্বাসের কিশোর ছেলে সাধন বিশ্বাস (১৪)।
শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মামুন হোসেন জানান, সোমবার বিকালে মাগুরার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম ফিরোজ মামুনের আদালতে ছোটভাইকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন গোপাল বিশ্বাস।
থানার ওসি রেজাউল ইসলাম জানান, সাধনের বড় ভাই গোপাল বিশ্বাস পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন- মাস দুয়েক আগে তার বাবা দশরথ বিশ্বাস তাকে পারিবারিকভাবে পৃথক করে দেন। এ সময় থেকেই ছোট ভাই সাধন, বাবা দশরথ বিশ্বাস ও মা সুচিত্রা বিশ্বাসের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এতদিন ছোট ভাই সাধন মাগুরা সদর উপজেলার গাংনালিয়ায় মামার বাড়িতে থেকে একটি অটো গ্যারেজে কাজ করতেন। সপ্তাহখানেক আগে সাধন মামা বাড়ি ছেড়ে শ্রীপুরের মধুপুরে নিজ বাড়ি চলে আসেন বলে তিনি পুলিশকে জানান।
“এ সময় থেকেই গোপাল ছোটভাই সাধনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন বলে পুলিশকে জানান।”
ওসি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী একই এলাকার সজীবসহ অপর তিন বন্ধুর সহযোগিতায় গত শনিবার মধ্যরাতে সাধনকে বাড়ির বারান্দায় ঘুমন্ত অবস্থায় মুখ বেঁধে তুলে নেয় তারা। পরে বাড়ির পাশে একটি পাটক্ষেতে গলা কেটে হত্যা করে।
“বাবার মুত্যুর পর সব সম্পত্তি এককভাবে ভোগ করার জন্য ভাইকে হত্যা করেছেন বলে সাধন পুলিশকে জানান।”
ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশ সন্দেহজনকভাবে গোপাল বিশ্বাসকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আটক করা হয় গোপালের বন্ধু সজীব বিশ্বাসকে। এ ঘটনায় জড়িত আরও দুই জনের নাম বলেছেন তারা, যাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাধনের হত্যার ঘটনায় তার বাবা দশরথ বিশ্বাস থানায় মামলা করেছেন, যেখানে কোনো আসামির নাম ছিল না।