তালা থানার ওসি হাসান হাফিজুর রহমান জানান, উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের ঘোনা গ্রামে রোববার রাতে হতাহতের এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আক্তার আলী মোড়ল (৪০) ওই গ্রামের গহর আলীর ছেলে।
আহত ইরানি বেগমকে (৩২) চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি হাসান প্রাথমিক তদন্তের তথ্যে বলেন, আক্তার তার স্ত্রীকে ঘুমন্ত অবস্থায় কুপিয়ে জখম করার পর আমগাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্থানীয়রা তার স্ত্রীকে প্রথমে খুলনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে ঘটনার দিন বিকালে ইরানি তার চার ও নয় বছরের দুই মেয়েকে আত্মীয়বাড়ি পাঠিয়ে দেন কেন তা নিয়ে এলাকাবাসীর মনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
আক্তারের প্রতিবেশী মো. মহসীনের স্ত্রী জেসমিন বেগম বলছেন, ঘটনার দিন রোববার বিকালে ইরানি তার মেয়েদের আত্মীয়বাড়ি পাঠান।
তবে কেন পাঠান সে সম্পর্কে ওই প্রতিবেশী কিছু বলতে পারেননি।
আবার আক্তার আলীর তিনটি কুকুরও সোমবার সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছে না বলে জানিয়েছেন ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নিরোজা ইয়াসমিন জুলি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “আক্তারের তরতাজা তিনটি কুকুর গোটা এলাকা পাহারা দিত। তিনটি কুকুরকেই রোববার রাত থেকে ঝিমাতে দেখা যাচ্ছে।”
আক্তার আলী স্ট্রোক করার পর অনেক দিন প্যারালাইজড ছিলেন জানিয়ে জুলি বলেন, এ কারণে তাদের সংসারে অভাব নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াঝাঁটি লেগেই থাকত। তাদের জন্য ভিজিডি-ভিজিএফ কার্ডের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল।
“রোববার সারাদিন তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। রাতে ইরানিকে ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় এবং আক্তারকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল। এলাকাবাসী এ বিষয়ে কিছু ধারণা করতে পারছে না।”