তানোরে ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অস্ত্র, বোমা

রাজশাহীর তানোরে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রাজশাহী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 June 2017, 03:42 AM
Updated : 12 June 2017, 04:38 AM

উপজেলায় পাঁচন্দর ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া গ্রামের ওই বাড়ি থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। থানায় নেওয়া হয়েছে নারী ও শিশুসহ আরও নয়জনকে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমিত চৌধুরী জানান, রোববার গভীর রাতে ওই গ্রামের রমজান আলীর বাড়িতে তাদের অভিযান শুরু হয়।

বাড়িটি এখনও ঘিরে রাখা হয়েছে এবং সেখানে শক্তিশালী বোমা রয়েছে বলে পুলিশের ধারণা।

পুলিশ কর্মকর্তা সুমিত সাংবাদিকদের বলেন, বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের কাছে খবর পেয়ে এ অভিযান চালানো হয়। বাড়ি ঘেরাও করার পর আত্মসমর্পণের আহ্বান জানালে তারা সাড়া দেন।

“এ সময় জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার করা হয় তিনজনকে। আর নারী ও শিশুসহ আরও নয়জনকে নেওয়া হয় থানা হেফাজতে। পরে বাড়িটিতে তল্লাশি চালিয়ে দুটি সুইসাইডাল ভেস্ট, পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।”

জঙ্গি সন্দেহে গ্রেপ্তার তিনজন হলেন - রমজান আলীর ছেলে ইব্রাহিম হোসেন (২৬), ইসরাফিল হোসেন (২৪) ও জামাতা রবিউল ইসলাম (২৫)। তিনজনই জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বলে পুলিশ কর্মকর্তা সুমিত জানান।

আর থানায় নেওয়া হয়েছে - রমজান আলী, তার স্ত্রী আয়েশা বেগম, মেয়ে হাওয়া খাতুন, ইব্রাহিমের স্ত্রী মর্জিনা খাতুন, ইসরাফিলের স্ত্রী হারেছা খাতুন ও রমজানের চার নাতি, যাদের বয়স এক মাস থেকে নয় বছর।

 

রমজান আলী উপজেলার গৌরাঙ্গপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

পুলিশ কর্মকর্তা সুমিত বলেন, ওই বাড়িতে একটি শক্তিশালী বোমাসহ কিছু বিস্ফোরক দ্রব্য রয়েছে। বাড়িটি পুলিশ ঘিরে রেখেছে। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার পর সেগুলো উদ্ধার করা হবে।

পাঁচন্দর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মুঞ্জুরুল ইসলাম মুঞ্জু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বছর ১০-১২ হল রমজান আলীর পরিবার সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে রোজা ও ঈদ করছে।

“এবারও তারা সৌদি আবরের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে থেকে রোজা রাখা শুরু করে। গত বছর রমজান আলী ও তার স্ত্রী আয়শা বেগম হজ করেন।”

ইব্রাহিম ও ইসরাফিল মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেছেন জানিয়ে এই ইউপি সদস্য বলেন, “বর্তমানে ইব্রাহিম বাড়িতে সার-কীটনাশকের দোকান চালান বলে জানি। আর ইসরাফিলকে জমি চাষাবাদ করতে দেখি।

“তাদের ভগ্নিপতি রবিউলের বাড়ি পাশের গ্রামের চকপাড়ায়। রবিউল কাঠমিস্ত্রির কাজ করেন। তার স্ত্রীর সন্তান হওয়ার পর মাসখানেক ধরে রবিউল শশুরবাড়ি ছিলেন।”