ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতাকে আটকের খবরে মহাসড়ক অবরোধ

টঙ্গীতে ছিনতাই চেষ্টার সময় ছাত্রলীগের এক নেতাসহ দুইজনকে আটকের খবরে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 June 2017, 02:18 PM
Updated : 11 June 2017, 03:08 PM

রোববার দুপুরে টঙ্গী কলেজ গেইট এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে তারা। পরে পুলিশ ছাত্রলীগ নেতাকে ছেড়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

টঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ তালুকদার জানান, টঙ্গী কলেজ গেইট এলাকায় বিভিন্ন দোকান থেকে উত্তোলন করা বিকাশের টাকা মাইক্রোবাস করে স্থানীয় যমুনা ব্যাংকে জমা দিতে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীরা তাদের অনুসরণ করে টাকা ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালায়।

“এ সময় সাথে থাকা আনসার সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে আমিনুল ইসলাম ইয়াসিনকে (২৮) আটক করে। আর ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় শিল্প পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী মঞ্জুরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যায়।”

তিনি বলেন, “মঞ্জুরকে আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে কলেজ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের অবস্থান নেয়। টায়ারে অগ্নিসংযোগ করে তারা সড়ক অবরোধ করে রাখে এবং শিল্প পুলিশের ক্যাম্পে ইট নিক্ষেপ করে।”

মঞ্জুরকে ছেড়ে দেওয়ার পর বেলা ৩টার দিকে তারা সড়ক থেকে সরে গেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

মঞ্জুরকে ছেড়ে দিলেও ইয়াসিনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে মঞ্জুর বলেন, ছিনতাইয়ের ঘটনাটি তিনি জানতেন না। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় শিল্প পুলিশ সদস্যরা তাকে টেনে হিঁচড়ে ক্যাম্পের নিয়ে গিয়ে মারধর করে।

তিনি অভিযোগ করেন, কলেজ গেইট এলাকায় বিভিন্ন দোকান থেকে শিল্প পুলিশ সদস্যরা চাঁদা তুলে, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে। এসব নিয়ে শনিবার তাদের কয়েক সদস্যের সঙ্গে বিতণ্ডা জেরে তাকে ধরে ক্যাম্পে নিয়ে মারধর করা হয়।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশের সহকারী সুপার মো. আমিরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চাঁদাবাজি ও ছাত্রী উত্ত্যক্তের ঘটনা সঠিক নয়। ছিনতাই চেষ্টার পর ভুলবশত মঞ্জুরকে আটক করা হয়।

পরে তার পরিচয় জেনে ছেড়ে দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তাকে মারধর করা হয়নি। তবে সামান্য ধ্বস্তাধস্তির ঘটনা ঘটেছে।