বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক শামীম আহসান চৌধুরী জানান, উপজেলার দপদপিয়া পুরনো ফেরিঘাট এলাকায় মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে ওয়াটার বাস অ্যাডভেঞ্চার-৬ নামের লঞ্চটির ভারী লোহার অবকাঠামো ছাড়া সব পুড়ে গেছে।
মালিক মো. নিজাম উদ্দিন মৃধা সাংবাদিকদের বলেন, দিনের বেলায় বরিশাল-ঢাকা রুটে চালানোর জন্য তিনি তার নিজস্ব নিজাম শিপিং লাইন্স নামের কারখানায় অ্যাডভেঞ্চার ৫ ও ৬ নামে দুটি লঞ্চ নির্মাণ করছিলেন।
“অ্যাডভেঞ্চার-৫-এর কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অ্যাডভেঞ্চার-৬-এর ৯০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছিল। ঈদের আগেই লঞ্চ দুটি চলাচল শুরু করার কথা ছিল।”
আগুন লাগার পর ফায়ার সার্ভিস দেরিতে ঘটনাস্থলে আসে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শামীম সাংবাদিকদের বলেন, ফায়ার সার্ভিস খবর পাওয়ামাত্র দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তারপর প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
“গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
তবে নির্মাণকাজের তদারকিতে থাকা মালিকের চাচাত ভাই মো. সাইফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এটা ‘পরিকল্পিত নাশকতা’।
“একই সঙ্গে ওয়াটার বাসটির তিনটি তালায় আগুন দেখা গেছে। সিলিন্ডার বিস্ফোরণ বা অন্য কোনোভাবে আগুন লাগলে তো এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়ানোর কথা। আমরা ধারণা করছি, গানপাউডার ছড়িয়ে এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
এ বিষয়ে মামলা করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, প্রায় ৬০০ যাত্রী ধারণক্ষমতার লঞ্চটি পুড়ে তাদের ১০ থেকে ১২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।