মঙ্গলবার শরীয়তপুরের মনোহর বাজার থেকে আনোয়ার খাঁ, গিয়ান সরদার ও জহির ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শরীয়তপুর ডিবি পুলিশের উপরিদর্শক এনামূল হক জানান, দুই/তিন মাস আগে শরীয়তপুর সদরের চর নিয়ামতপুর গ্রামের গিয়ান সরদার গোপালগঞ্জ গেলে সেখানে ঘোষেরচর উত্তরপাড়া গ্রামের মাকসুদা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে গিয়ান সরদার ও মাকসুদার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো।
এসআই এনামূল বলেন, এর সূত্র ধরে সোমবার (৫ জুন) রাতে গিয়ান সরদার ওই নারী ও তার স্বামী সাফায়াত হোসেনকে শরীয়তপুর বেড়াতে আসতে বলেন। এরপর সাফায়াত শেখ তার প্রতিবেশী সামসুল হক মোল্যাকে সঙ্গে নিয়ে সোমবার রাতে শরীয়তপুরের আঙ্গারিয়া বাজারে এসে গিয়ান সরদারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
“ফোন পেয়ে গিয়ান সরদার এসে তাদেরকে চরনিয়ামতপুর এলাকায় নিয়ে একই গ্রামের আনোয়ার খাঁ, জহির ফকিরকে সঙ্গে নিয়ে তাদের আটক করেন এবং জাল টাকা বানানোর অপবাদ তুলে মারপিট করেন।
“পরে তাদের দুজনের স্ত্রীকে ফোন করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।”
এসআই এনামূল জানান, এরপর সাফায়াত শেখের স্ত্রী মাকসুদা বেগম ও সামসুল হকের স্ত্রী মঞ্জুরা বেগম মঙ্গলবার সকালে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনে এসে ঘটনাটি বলেন। পরে পুলিশ টাকা দেওয়ার ফাঁদ পেতে শরীয়তপুরের মনোহর বাজার থেকে আনোয়ার খাঁকে গ্রেপ্তার করে।
তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পরে অপহৃত দুইজনকে উদ্ধার এবং গিয়ান সরদার ও জহির ফকিরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
এনামুল বলেন, এ ঘটনায় সাফায়াত শেখের স্ত্রী মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে পালং মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মাকসুদা বলেন, “বেড়ানোর কথা বলে আমার স্বামীসহ দুইজনকে ডেকে এনে আটক করে তিন লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। আমি প্রশাসনের সহায়তায় আমার স্বামী ও প্রতিবেশীকে উদ্ধার করেছি।”
ডিবির ওসি সুব্রত কুমার সাহা বলেন, প্রতারণা করে দুইজন লোককে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পালং মডেল থানার ওসি খলিলুর রহমান বলেন, আসামিদের বুধবার আদালতে হাজির করা হবে।