বাঁধ ভেঙে মৌলভীবাজারে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে মৌলভীবাজারের মনু ও ধলই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে রাজনগর, কুলাউড়া ও কমলগঞ্জ উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 June 2017, 06:28 PM
Updated : 4 June 2017, 06:28 PM

রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী ও স্থানীয় চেয়ারম্যানরা এ তথ্য নিশ্চিত করছেন।

কুলাউড়া উপজেলার টিলাগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মালিক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোববার রাত পৌনে ১১টায় তার ইউনিয়নের মিয়া পাড়ায় মুন নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে খন্দকার গ্রাম, তাজপুর, লারাজপুর, সালন, লাল পুর, পাল্লাকান্দিসহ ২০টি গ্রাম।

“এতে ডুবে গেছে স্কুল-কলেজ, ফসলি জমি।রাতে হঠাৎ পানি ঢুকে পড়ায় বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসীরা।”  

শরিফপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: আব্দাল মিয়া বলেন, “দুপুরে নিশ্চিন্তপুরে এলাকায় মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করে আমার ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর, সোনাপুর, দত্তগ্রাম ও হাজিপুর ইউনিয়নের দাউদপুর, ভুঁইগাও, সুলতানপুর, রনচাপ, পাইকপাড়াসহ ১৫ গ্রাম তলিয়ে গেছে।”

এদিকে দুপুরে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের ভোলানগর এলাকায় মনু নদীর বাঁধ ভেঙে প্রায় ১৫টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে।

কামারচাক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নজমুল হক সেলিম জানান, ভোলানগরে প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ভোলানগর, খাস প্রেমনগর, মিঠিপুর, গোবিন্দপুর, পঞ্চানন্দপুর, চিক বিশালী, শ্যামর কোনা, হাতি কড়াইয়া ও মৌলভীর চকসহ প্রায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

তার দাবি, এখনও ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কালাই কোনা, দস্তিদার চক, কমার চাক, টুপির মহল ও ছাতি কোনা গাওসহ বাঁধের ১০টি পয়েন্ট।

কমলগঞ্জ উপজেলার উত্তর আলেপুর, চৈতন্যগঞ্জ ও প্রতাপি এলাকা দিয়ে ধলই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে অর্ধ শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন, কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হক।

এখনও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সমর্পকে জানা যায়নি বলে জানান তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী বিজয় ইন্দ্র শংকর চক্রবর্তী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ধলই ও মনু তিনটি পয়েন্টে ভাঙনের খবর পেয়েছি। পানি কমে গেলে ওই বাঁধ মেরামতের কাজ করা হবে।