বাগেরহাটে হোটেলে পুলিশ কর্মকর্তার লাশ

বাগেরহাট শহরে একটি আবাসিক হোটেল থেকে এক পুলিশ কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ, যেখানে গত তিন বছর ধরে তিনি বসবাস করছিলেন।

রোববার দুপুরে শহরের কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ডের আল আমিন হোটেলে শহীদুজ্জামান আনসারীর (৫৭) লাশ পাওয়া যায়।

এসআই শহীদুজ্জামান বাগেরহাট আদালতে কর্মরত ছিলেন। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার করপাড়া গ্রামের প্রয়াত ইসমাঈল হোসেন আনসারীর ছেলে। ১৯৭৯ সালে পুলিশের কনস্টেবল পদে যোগদান করেন।

আল আমিন হোটেল কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০১৪ সালে শহীদুজ্জামান বাগেরহাটের কর্মস্থলে আসেন। প্রায় তিন বছর ধরে তিনি বাগেরহাটের এই হোটেলের দ্বিতীয় তলার ১২ নম্বর কক্ষে একা বসবাস করছিলেন।

বাগেরহাট মডেল থানার ওসি মাহাতাবউদ্দিন বলেন, শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে খাওয়াদাওয়া শেষে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান তিনি। সকালে অপিসে না যাওয়ায় আদালতের পুলিশ পরিদর্শক বারবার ফোন দিতে থাকেন। তিনি ফোন রিসিভ না করায় পরিদর্শক তাকে খুঁজতে হোটেলে পুলিশ পাঠান।

“পুলিশ সদস্য এসে অনেক ডাকাডাকি করার পরও দরজা না খোলায় দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তাকে বিছানায় দেখতে পান।”

ওসি বলেন, ঘুমের মধ্যে ‎‎হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাগেরহাট পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে বলে ওসি জানান।

ওসি আরও জানান, প্রায় এক মাস আগে শহীদুজ্জামানের স্ত্রী আসমা পারভীন শিমু সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান। এরপর থেকে তিনি মানষিক চাপে ছিলেন। তাদের একমাত্র মেয়ে মালিহা মেহবুবা (১৫)।