প্রায় ৯ মাস আগে ইংরেজির শিক্ষক দীপক কুমার সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন দুই ছাত্রী।
এ প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষের তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাপা দেওয়ার আশঙ্কা করে হতাশায় ভুগছেন ওই দুই ছাত্রী।
ইংরেজি বিভাগের ওই দুই ছাত্রীর অভিযোগ, শিক্ষক দীপক কুমার সরকার পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকিসহ বিভিন্ন অজুহাতে ছাত্রীদের তার কক্ষে ডেকে নিয়ে যৌন হায়রানি করে আসছিলেন।
২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে এমন একটি ঘটনায় ওই দুই ছাত্রী ওই শিক্ষকের অশালীন প্রস্তাব প্রত্যাখান করে সোশ্যাল সায়েন্স অ্যান্ড হিউমিনিটিস অনুষদের ডিন ফাহিমা খানমের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
ফাহিমা খানম অভিযোগটি একই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে অবহিত করলে কর্তৃপক্ষ তাকে (ফাহিমা) চেয়ারম্যান করে ৫ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তদন্ত কমিটির সদস্য প্রক্টর এটিএম শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এ বছরের মার্চ মাসে তদন্ত প্রতিবেদন ও সুপারিশ কর্তৃপক্ষকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সাইফুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ১৯ মে এখানে যোগদান করেছি। ছাত্রীকে যৌন হয়রানির বিষয়টি শুনেছি, কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো ফাইল আমার কাছে নেই।”
উপাচার্য মু. আবুল কাসেমকে মোবাইল ফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
যৌন হয়নানির অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষক দীপক কুমার সরকার এবিষয়ে তার কোনো বক্তব্য নেই বলে জানান।