ভারি বর্ষণে মৌলভীবাজারে জলাবদ্ধতা, বাঁধ ভেঙে ৪ গ্রাম প্লাবিত

ভারি বর্ষণে মৌলভীবাজার সদরসহ পাঁচটি উপজেলার নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। তাছাড়া কমলগঞ্জে ধলই নদীর বাঁধ ভেঙে চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে শত শত বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে।

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 June 2017, 03:28 PM
Updated : 1 June 2017, 03:28 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কমলগঞ্জের পৌর এলাকার আলেপুরে ধলই নদীর বাঁধের প্রায় ৭০ ফুট ভেঙে গ্রামগুলোতে পানি প্রবেশ করে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান কমলগঞ্জ পৌর সভার মেয়র জুয়েল আহমদ।

পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুর রশীদ মাখন বলেন, ধলাই প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে আলেপুর, চণ্ডিপুর, শ্রীচন্দ্রপুর ও কুশালপুর এলাকার ফসলি জমি ও বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে।

কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, উপজেলা প্রশাসন ওই এলাকাকে নজরদারীতে রেখেছে।

এদিকে টানা বৃষ্টিতে মৌলভীবাজার পৌর এলাকা, শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়ন, রাজনগর টেংরাবাজার ইউনিয়ন, কুলাউড়া উপজেলার নিম্নাঞ্চল ও পৌর এলাকা, বড়লেখা উপজেলা ও কমলগঞ্জের বিভিন্ন এলকায় প্রায় শতাধিক রাস্তা ডুবে গেছে। বাড়িঘরে পানি উঠেছে।

মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ফজলুর রহমান জানান, টানা বর্ষণে মৌলভীবাজার পৌর এলাকার নিম্নাঞ্চল পানি জমেছে। বাসা বাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে।

হঠাৎ ভারি বর্ষণে শহরের পানি নিষ্কাশনের নর্দমা ও ছড়া ডুবে গিয়ে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের অবজারভার হারুন অর রশীদ জানান, ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৭০ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে সরেজমিন দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে কোমর পর্যন্ত পানি উঠেছে। ফলে স্কুলগামী শিক্ষার্থী ও অফিসগামী লোকজন মারাত্মক দুর্ভোগে পড়েছেন।

বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা থেকে মৌলভীবাজারে বৃষ্টি শুরু হয়। বিকাল ৫টা পর্যন্ত হালকা ও ভারি বর্ষণে শহরের সার্কিট হাউস এলাকা, টিবি হাসপাতাল রোড, আরামবাগ, পূর্বগির্জাপাড়া, ধরকাপন, পশ্চিমবাজার এলাকা, গোবিন্দশ্রী, সৈয়ারপুর ইত্যাদি এলাকার রাস্তাঘাটে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দুই শতাধিক বাসাবাড়িতেও পানি প্রবেশ করেছে।

এছাড়া শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ, রুপসপুর, সন্ধানী, সুরভীপাড়া, শাহীবাগ ও মুসলিমবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। পানিতে রাস্তাঘাটের সঙ্গে বাড়ি-ঘরও তলিয়ে গেছে।