নিহত তহমিনা খাতুন (১৯) যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের মনিরুল ইসলামের স্ত্রী।
কলারোয়া থানার ওসি বিপ্লব কুমার দেবনাথ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে দেয়াড়া এলাকার বাবার বাড়ি থেকে তাহমিনার লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওই এলাকার ইমান আলী সরদারের মেয়ে তহমিনা বুধবার রাতে স্বামী মনিরুলের সঙ্গে বাবার বাড়ি বেড়াতে আসেন। সকালে পরিবারের লোকজন ঘরের মধ্যে তার লাশ দেখতে পায়।
তহমিনার ভাই আক্তারুল ইসলাম বলেন, “এক বছর আগে মনিরুলের সঙ্গে তার বোনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তহমিনাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল মনিরুল।”
বুধবার দুপুরে তার বোন মনিরুলের সঙ্গে তাদের বাড়ি বেড়াতে আসে। সকালে তারা ঘরের ভেতর গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তহমিনার লাশ দেখতে পান বলে জানান তিনি।
রাতের কোন এক সময়ে তহমিনাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর মনিরুল পালিয়ে গেছে বলে দাবি আক্তারুলের।
ওসি বলেন, “তহমিার গলায় ও গালে আঘাতের চিহ্ন দেখে ধারণা করা হচ্ছে রাতের কোন এক সময় মনিরুল তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়।”
সকালে তহমিনার পরিবারের লোকজনের কাছে খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। তবে মনিরুল পালিয়ে গেছে বলে জানান তিনি।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।