বুধবার দুপুরে নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা বিএনপি আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে নেতৃবৃন্দ এ বক্তব্য দেন।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মামুন রহমান টাকা দিয়ে মিঠুকে হত্যা করিয়েছেন বলে মঙ্গলবার খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদের নিজ কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে দাবি করেন।
খুলনা মহানগর বিএনপি সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, মিঠু হত্যাকাণ্ডটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিএনপি নেতাদের জড়াচ্ছে পুলিশ। প্রকৃত খুনিদের কাছে না গিয়ে স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতাদের সম্পর্কে কল্পকাহিনী প্রকাশ করছে পুলিশ।
মিঠুর পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা হত্যা মামলায় যেসব ‘খুনিদের’ বিষয়ে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে পুলিশ তাদের ধারে কাছেও যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন নজরুল।
তিনি অভিযোগ করেন, মামলাটি অন্য পথে ধাবিত করতে বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের রাতের আাঁধারে ধরে নিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক স্বীকারোক্তি নেওয়া হচ্ছে।
তিনি নপুলিশের প্রতি প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তারের আহবান জানান।
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরও বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, জেলা বিএনপি সভাপতি শফিকুল আলম মনা ও সাধারণ সম্পাদক আমীর এজাজ খান।
মিঠু হত্যা মামলার বিষয়ে মঙ্গলবার খুলনার রেঞ্জ ডিআইজি দিদার আহমেদ প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মামুন রহমান ৩০ লাখ টাকায় ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের দিয়ে মিঠুকে খুন করিয়েছেন।
ডিআইজির এ বক্তব্য মিঠুর ভাই সরদার সেলিমও প্রত্যাখ্যান করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ মে) রাত সোয়া ৯টার দিকে উপজেলার দামোদর এলাকায় মিঠুর অফিসে ঢুকে তাকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকধারীরা। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দেহরক্ষী নওশের আলী গাজীও (৫০) গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই সরদার রাজ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
খুলনার ফুলতলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সরদার আলাউদ্দিন মিঠুর বাবা ও দামোদর ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরদার ১৯৯৮ সালের ১৮ অগাস্ট ফুলতলা ইউএনও অফিসে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন। এরপর ২০১০ সালের ১৬ অগাস্ট তার বড় ভাই ও একই ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বাদলও অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন।