সোমবার রাতে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল কার্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাইকে লাঞ্ছিত করার এ ঘটনা ঘটে।
এসময় সুজানগর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের রোকন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল অফিসের একটি কক্ষ থেকে ডেপুটি কমান্ডার হাইকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা চেয়ারম্যান রোকন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ছাত্রলীগ নেতা শামীম তার বাবার নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করাকে কেন্দ্র করে মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাইকে লাঞ্ছিত করে।
এ বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত মুক্তিযোদ্ধা ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে আক্ষেপ করে বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। আমি এ ঘটনায় খুবি লজ্জিত।
“এটা যদি আমার দলের লোক না হয়ে জামায়েত-শিবিরের লোক হত, তাহলে কোনো লজ্জার বিষয় ছিল না। কিন্তু দলের লোক হওয়াতে বিব্রত। তবে বিষয়টি জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারকে জানিয়েছি।”
এ বিষয়ে মামলা করা হবে কিনা তা এখনও ভাবেননি বলে জানান আব্দুল হাইয়ের ভাই আব্দুল আলিম যতিন।
তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ নেতার হাতে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনায় আমার ভাই নিশ্চুপ রয়েছে। তবে বিষয়টি নিন্দনীয় একটি অপরাধ করেছেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। এ বিষয়ে মামলা করা হবে কিনা তা আমরা এখনও ভাবিনি।”
এদিকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা শামীম বলেন, “আমি শারীরিকভাবে তাকে লাঞ্ছিত করিনি। তবে আমি এবং আমার সঙ্গে থাকা কয়েকজন উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী তার ওপর চড়াও হয়েছিল।”