ঘূর্ণিঝড় মোরা: কক্সবাজারে ৫৩৮ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত

ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় কক্সবাজারে ৫৩৮টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 May 2017, 09:44 AM
Updated : 29 May 2017, 10:06 AM

তিনি বলেছেন, “এসব আশ্রয় কেন্দ্রে পাঁচ লাখের বেশি মানুষকে আশ্রয় দেওয়া যাবে। তাদের নিরাপত্তার পাশাপাশি খাদ্য সরবরাহের ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।”

ঘূর্ণিঝড় মোরা এগিয়ে আসার প্রেক্ষাপটে সোমবার দুপুরের আগে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে প্রস্তুতির এই চিত্র তুলে ধরেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।

তিনি বলেন, দুর্যোগকালীন পরিস্থিতির জন্য ৮৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির আওতায় থাকা ৪১৪টি ইউনিটের ৬ হাজার ১০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এর বাইরে আছেন রেড ক্রিসেন্টের ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবী।

সার্বিক কার্যক্রম তদারকির জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আর পায়রা ও মোংলা বন্দরকে দেখাতে বলা হয়েছে পাঁচ নম্বর বিপদ সংকেত।

ঘূর্ণিঝড় মোরা আরও ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবার ভোরে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভার পর জেলার উপকূলীয় এলাকায় চলছে সতর্কতামূলক মাইকিং ও প্রচারণা।

ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগেই লোকজনকে নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে সরে যেতে বলা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় জানানো হয়, জরুরি পরিস্থিতির জন্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান বন্ধ রেখে দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে ব্যবহারের জন্য তৈরি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে কক্সবাজার বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে বলে ম্যানেজার সাধন কুমার মোহন্ত বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

তিনি বলেন, “বিমান চলাচলে সিডিউল ঠিক আছে। ফ্লাইট নাম-ওঠা অব্যাহত রয়েছে।”

কক্সবাজারের সিভিল সার্জন উ. পুঁচনু ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রুহুল কুদ্দুস, কক্সবাজার পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মাহবুবর রহমান চৌধুরী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোটেক সিরাজুল মোস্তফাসহ প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ও স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।