কলম-পুণ্ডরী গ্রামের একটি মাঠ থেকে রোববার গভীর রাতে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সিংড়া থানার এসআই খাইরুজ্জামান জানান।
নিহত শাপলা বেগম (২৮) চামারী ইউনিয়নের গুটিয়া গ্রামের প্রবাসী হোসেন আলীর স্ত্রী। মহিষমারী গ্রামে তার বাবার বাড়ি।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, শ্বশুর বাড়িতে অত্যাচারের শিকার হয়ে বিয়ের কয়েক বছরের মাথায় শাপলা বাবার বাড়িতে চলে আসেন।
গত শনিবার বাড়ি থেকে বেড়িয়ে শাপলা নিখোঁজ হন বলে জানালেও তাকে হত্যার কারণ নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসআই খাইরুজ্জামান বলেন, শনিবার রাতে শাপলা তার বাবার বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। অনেক খোঁজাখুঁজির পর কলম-পুণ্ডরী গ্রামের একটি মাঠে তার গলাকাটা লাশ দেখতে পায় স্থানীয়রা।
পরে পরিবারের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে শাপলার লাশ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায় বলে জানান তিনি।
শাপলার বড় ভাই চামারী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে তার ছোট বোন শাপলার সঙ্গে হোসেন আলীর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছু দিন পর হোসেন বিদেশে চলে যান।
এরপর হোসেনের বাড়ির লোকজন তার বোনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করে বলে অভিযোগ করেন নূরুল।
তিনি বলেন, শুশ্বরবাড়ির লোকজনের অত্যাচারের কারণে তার বোন বাবার বাড়িতেই থাকতেন। তবে শাপলাকে হত্যার কারণ তারা জানেন না।