৩২ ঘণ্টা পর নিভল সুন্দরবনের আগুন

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জে ধানসাগর স্টেশনে লাগা আগুন প্রায় ৩২ ঘণ্টা পর নিভেছে।

বাগেরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 May 2017, 11:39 AM
Updated : 11 Feb 2018, 03:38 AM

শনিবার বেলা সোয় ৪টার দিকে ধান সাগর স্টেশনের নাংলি টহল ফাঁড়ি এলাকায় লাগা আগুন নিভে বলে জানিয়েছেন বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকরি পরিচালক (ডিএডি) মাসুদুর রহমান সরদার।

নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে আগুনের ধোঁয়া দেখতে পায় বনকর্মী ও স্থানীয়রা। এর পর স্থানীযদের নিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে বন বিভাগের কর্মীরা।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মাসুদুরবলেন, দুই দিন চেষ্টার পর শনিবার বেলা ৪টা ২০ মিনিটে সম্পূর্ণ নিভানো সম্ভব হয়েছে। এখন ওই এলাকার আর কোথাও আগুন বা ধোঁয়া নেই।

অগ্নিকাণ্ডে নাংলি টহল ফাঁড়ির মাদ্রাসার ছিলা এলাকায় সাড়ে চার একর এলাকার লতাগুল্ম পুড়ে গেছে বলে জানান তিনি।

আগুন লাগার পর শুক্রবার রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণেওই এলাকার প্রায় পৌনে ৫একর এলাকা জুড়ে স্থানীয়দের নিয়ে ফায়ার লাইন (অগভীর নালা) কাটে বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, বনকর্মী ও ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয় কয়েকশ মানুষ আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেন। বিকালে আগুন নিভিয়ে সার্ভিস কর্মীরা বন থেকে বেরিয়ে গেছেন।

আগুনের কারণ অনুসন্ধানে চাঁদপাই রেঞ্জ সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. মেহেদীজ্জামান প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাইদুল বলেন, রোববার থেকে কমিটি কাজ শুরু করবে। তাদের প্রতিবেদন পেলে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যাবে।

এসিএফ মেহেদীজ্জামান বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার নির্দিষ্ট কোনো কারণ জানা যায়নি। নাশকতা কি না তা তদন্ত করে দেখা হবে।

বনের যে অংশে আগুন লেগেছে সেখানে বড় কোন গাছ নেই। গেওয়া, বলা ও সিংড়াসহ লতাগুল্ম জাতীয় গাছ রয়েছে বলে জানান তিনি।

মাসুদুর রহমান সরদার বলেন, “আগুনের কারণ জানতে বন বিভাগ তদন্ত করছে। তবে আমরা যতদূর জানতে পেরেছি বনের যে এলাকায় আগুন লেগেছে সেখানে মধুসহ কোন প্রকার বনজ সম্পদ আহরণের অনুমিত নেই।

“সেই হিসেবে মধু সংগ্রহকারী বা জেলেদের কারণে আগুন ধরার কথা না।”

অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে বন বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের কাছে কোন সহযোগিতা চাইলে করবেন বলেও জানান তিনি।

গত বছর ২৭ মার্চ থেকে পুরো এক মাস নাংলি ক্যাম্প-সংলগ্ন পচাকোড়ালিয়া, টেংরা ও তুলাতুলী এলাকায় জাল পাতার সুবিধার জন্য অন্তত পাঁচ দফা পরিকল্পিত আগুন দেওয়া হয় বলে সে সময় বন বিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন। এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়। মামলাও হয়েছিল।