সাভারের ‘জঙ্গি আস্তানায়’ দফায় দফায় বিস্ফোরণ

ঢাকার সাভারে সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল আসার পর দেড়ঘণ্টার একঘন্টার মধ্যে দফায় দফায় বিকট বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে।

শনিবার বেলা ১২টার পর এই বিস্ফোরণগুলো ঘটে।

ঢাকা-১৯ (সাভার) আসনের সংসদ সদস্য এনামুর রহমান ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “যে বিকট বিস্ফোরণ হল, এতে ধারণা করছি ভেতরে বোমা ও জঙ্গি আছে।”

সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকায় আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তির পাঁচতলা একটি বাড়ি শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘিরে অভিযান চালায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তবে ওই বাড়ির সন্দেহভাজন ভাড়াটিয়ারা শুক্রবার সকালেই বাসা ছেড়ে চলে যায় বলে পুলিশ জানিয়েছিল।

এরপর রাত সাড়ে ৯টার দিকে অদূরে আরেকটি ছয়তলা বাড়িতে অভিযান শুরু করে কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।

বাড়ির আশপাশের প্রায় ৫০ গজের ভেতর থেকে সবাইকে নিরাপদ স্থানে থাকার জন্য মাইকিং করে পুলিশ।

শুক্রবার রাতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে ছয়তলা বাড়িটিতে কিছু বিস্ফোরক পাওয়ার কথা বলেছিলেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের উপ-কমিশনার মহিবুল ইসলাম। 

শনিবার বেলা পৌনে ১১টায় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ঘটনাস্থলে আসে। তারা বাড়ির ভেতরে রয়েছেন বলে জানান সংসদ সদস্য এনামুর।

তিনি বলেন, “গত ১৫ দিন আগে আমি এ এলাকায় সমাবেশ করে গেছি। ধারণা করছি এখানে জামায়াত-শিবিরের লোকজন জড়িত থাকতে পারে।”

পুলিশ যে ছয়তলা বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে, তার শুধু দ্বিতীয়তলার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা ভাড়া নিয়েছিলেন ‘কামাল হোসেন নামে ৪০-৪২ বছরের’ এক ব্যক্তি।

তার সঙ্গে পরিচয় ছিল প্রতিবেশী কবির হোসেনের।

পুলিশ কবির হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় কবির সাংবাদিকদের বলেন, “কামাল আরও তিন কিশোরকে নিয়ে দ্বিতীয় তলার ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন। কিশোরদের বয়স ১৫-১৮ বছর।

“কামাল ছয়তলা বাড়ির কাছেই আবদুল হালিম নামের এক ব্যক্তির একটি টিনশেড ঘর ভাড়া নিয়ে ক্রিম বানাতেন। কামাল বলেছিলেন যে তিনি এখানে রং ফর্সাকারী ক্রিম ও হেয়ার জেল তৈরি করবেন। তবে কী করতেন তা ঠিক জানি না।”

ছয়তলা বাড়ির আশপাশের লোকজন বলছে, ছয়তলা বাড়িটি নির্মাণ করেন এক সৌদি প্রবাসী, যার ভাই ব্যাংক কর্মকর্তা সাকিব এটা দেখাশোনা করেন। আর এর কেয়ারটেকার হচ্ছেন সিরাজুল ইসলাম।

সাকিবের বাড়ি মানিকগঞ্জ। তাকে ঘনাস্থলে আনা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।