নদী খেকোদের নাম প্রকাশ করা হবে: নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান

নদী ও খাল খেকোদের তালিকা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 May 2017, 03:01 PM
Updated : 26 May 2017, 03:01 PM

শুক্রবার ‘রংপুর বিভাগ: আন্তঃদেশীয় নদী ও জীবন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, রিভারাইন পিপল, সলিডারিটি, ইন্টান্যাশনাল রিভারস, ব্লু প্লানেট ইনিশিয়েটিভ রংপুরে যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে।

নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন,  দেশের নদী ও খাল খেকোদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। শিগরিই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে ও তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের  উদ্দেশে আতাহারুল ইসলাম বলেন,  অপ্রয়োজেনে কোথাও স্লুইস গেট নির্মাণ করবেন না। দেশ স্বাধীন হওয়ার সময়ে ২৪ হাজার কিলোমিটার নদী পথ ছিল। এখন তা মাত্র ৫-৬ হাজারে নেমে এসেছে। ১৮ হাজার জলপথ নেই। আর জলপথ কমতে দেওয়া হবে না।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন বলেন,  ১৯৯৭ সালের জাতিসংঘের আইনের আলোকে নদীতে অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে যে কোন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি কোন কাজে আসবে না।

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও রিভারাইন পিপল তুহিন ওয়াদুদ বলেন, “তিস্তার পানি না দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক অযৌক্তিক কথা বলছেন। ভারত পানি না দিলে বাংলাদেশ সরকারকে জাতিসংঘে এর প্রতিকার চাইতে হবে।”

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন সলিডারিটির নির্বাহী পরিচালক হারুন-অর-রশিদ লাল।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম, নদী গবেষক মাহবুব সিদ্দিক, রংপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মারুফ হোসেন প্রমুখ।

পরে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম উপস্থিত সকলকে নিয়ে নদী রক্ষার শপথ পাঠ করান।