বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের আদালতপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে বলে মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের কর্মচারী সুমন সরকারের অবিযোগ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে হেফাজতে ইসলামীর জেলা সমন্বয়ক ফেরদাউসুর রহমানের দায়ের করা মামলায় রফিউর রাব্বির হাজির হওয়ার দিন ধার্য ছিল বৃহস্পতিবার।
সুমন সরকার বলেন, “আমি মোটরসাইকেলের হর্ন বাজালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ বাদলের লোকজন আমাকে এলোপাথাড়ি কিল ঘুষি মারতে শুরু করে।
“কিছু বুঝের ওঠার আগেই আমাকে মোটরসাইকেল থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে আনে। এক পর্যায়ে উনি (আবুল হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলও) আমাকে কিল ঘুষি লাথি মেরে পেটাতে থাকেন।”
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক সোহেল আলম জানান, একটি মামলায় রফিউর রাব্বির আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। এ উপলক্ষে আদালতপাড়ায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মোহাম্মদ শহীদ বাদলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত, মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিষয়ে কটূক্তির অভিযোগে হেফাজতে ইসলামের মামলায় সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের আহবায়ক ও নিহত ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বৃহস্পতিবার জামিন নিতে গেলে আদালতপাড়ার প্রবেশমুখে বিক্ষোভ করে একদল লোক। রফিউর রাব্বি নারায়ণগঞ্জ মুখ্য বিচারিক হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসর্মপণ করে জামিন নেন।
আগামী ৪ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে।