বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলনগর উপজেলার চর লরেন্স ইউপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান বলছেন, অনিয়ম নয় দুই ইউপি সদস্যের বিরোধের জেরে সংঘর্ষ হয়েছে।
এ সময় ইউপি সচিবের কক্ষ ভাংচুরসহ বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন উত্তেজিত গ্রামবাসী। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আহতদের কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
এলাকাবাসী জানান, চর লরেন্স ইউনিয়নে ৩২৩ জন জেলের জন্য বরাদ্দকৃত দ্বিতীয় পর্যায়ের চাল বিতরণ শুরু করা হয় সকালে। প্রত্যেক জেলের জন্য ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।
ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ইসমাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান এ কে এম নুরুল আমিন মাষ্টার ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবু ছিদ্দিক ৪০ কেজির স্থলে প্রতি জেলেকে ২৭/২৮ কেজি করে চাল দিচ্ছিলেন।
ইসমাইল বলেন, কম দেওয়ার অবিযোগ তুলে তিনি চাল বিতরণে বাধা দিলে আবু ছিদ্দিক ও তার লোকজন ইসমাইলকে মারধর করেন।
চাল কম দেওয়া ছাড়াও জেলেদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগও করেন ইসমাইল।
স্থানীয়রা জানান, এরপর ইসমাইল সমর্থকরা চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান নুরুল আমিন মাষ্টার বলেন, ইসমাইল মেম্বার ও ছিদ্দিক মেম্বার গত ২০ মে প্যানেল চেয়ারম্যানের ভোট করেন। এতে ইসমাইল মেম্বার পরাজিত হন। এর জের ধরে এদিন তার লোকজন নিয়ে ছিদ্দিক মেম্বারের উপর হামলা করেন ইসমাইল। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
চাল বিতরণে অনিয়ম ও টাকা আদায়ের অভিযোগ অস্বীকার করেন চেয়ারম্যান আমিন।