বৃহস্পতিবার লালমনিরহাট জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
“বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য নয়, দেশের মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিএনপি নির্বাচনে যেতে চায়। তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারে অধীনে।”
নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রধানমন্ত্রী ভারত গিয়ে পানি আনতে পারেন নাই, তিস্তার পানি চুক্তি হয়নি বলে মনে করেন ফখরুল।
“এখানে মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। জবাবদিহিতা নেই। একটা সংসদ আছে যেখানে জনগণের সমস্যা সমাধানের কোনো আলোচনা করা হয় না। যে সংসদে বিরোধী দল আছে যাকে সবাই বলে গৃহপালিত বিরোধী দল। তারা জলসা পার্টির দর্শক হয়ে শুধু হাতে তালি দেন।”
দেশে অধিকার হরণ করবার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গোটা দেশ বলতে গেলে ‘কারাঘর’ হয়ে গেছে। স্বাধীনভাবে কথা বলবার, সবকিছুর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হবে।
আওয়ামী লীগ সরকার ‘অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন ফখরুল।
সম্প্রতি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির নামে ‘আক্রমণ’ করা হয়েছে বলে সম্মেলনে উপস্থিত অন্য কেন্দ্রীয় নেতারা অভিযোগ করেন।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার অনুমতি না দেওয়ারও সমালোচনা করেন তারা।
লালমনিরহাট জেলা পরিষদ হলরুমে জেলা বিএনপি সভাপতি আসাদুল হাব্বি দুলুর সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, তাঁতীদলের সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মহিলাদলের সম্পাদিকা সুলতানা আহেম্মদ, ওলামা দলের সভাপতি আব্দুল মালেক, ওলামা দলের সম্পাদক নেছারুল হক প্রমুখ।