বুধবার জেলা প্রশাসক মো. আজিমুদ্দিন বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপসারিত সাইফুল ইসলাম সুমন জেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ।
জেলা প্রশাসক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব লুৎফুন নাহার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন আজ আমার হাতে এসেছে।
“এতে করিমগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম সুমনকে অপসারণ করে পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।”
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাইফুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা, কাবিটা, এডিপি ও রাজস্ব তহবিল ব্যবহারে অনিয়ম, কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকা বিভিন্ন অভিযোগ চলতি বছরের ৯ মার্চ উপজেলা পরিষদের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করে পরিষদের সদস্যরা।
“গত ৮ মে ঢাকা বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ মুনির হোসেন সরেজমিন করিমগঞ্জে গিয়ে অনাস্থা বিষয়ে তদন্ত করেন। ৯ মে তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান, দুই ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১ ইউপি সদস্যের নিয়ে অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট নেন।
“পরবর্তীতে অনাস্থা প্রস্তাবের উল্লেখ করে তার অপসারণ চেয়ে উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়।”
প্রজ্ঞাপনের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসক আজিমুদ্দিন আরও বলেন, চার-পঞ্চমাংশের বেশি ভোটে অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হওয়ায় উপজেলা পরিষদ আইন, ১৯৯৮ [উপজেলা পরিষদ (সংশোধন) আইন, ২০১১ দ্বারা সংশোধিত] এর ১৩(ক) ধারার (১৩) উপধারা অনুসারে সাইফুল ইসলাম সুমনকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে চেয়ারম্যান পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাইফুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে অন্যায় ও অসৎ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা প্রকল্প পাশ করিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছে। আমি মন্ত্রনালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুবিচারের জন্য আদালতে যাব।”