আহত ওই নারী (৫০) ও তার মেয়েকে (২৫) সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভার্তি করা হয়েছে।
সাভার পৌর এলাকার বক্তারপুর মহল্লার ভাড়া বাড়িতে সোমবার মধ্যরাতে মারধরের ঘটনা ঘটলেও ধর্ষণের চেষ্টা হয়নি বলছেন সাভার মডেল থানায় এসআই শেখ ফরিদ উদ্দিন।
ওই নারীর ছেলে বলেন, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বাসা থেকে তাদের দুটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। তখন এলাকার আজিজুলকে বাড়ির সামনে ঘুরতে দেখে সন্দেহ হলে তার কাছে ফোন চুরির বিষয় জানতে চাইলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
“এক পর্যায়ে ওই রাতে আজিজুল তার লোকজন নিয়ে এসে আমাদের মারধর করে। এ ঘটনায় আমরা সাভার মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।”
বিষয়টি এলাকায় সালিশের মাধ্যমে মীমাংসার কথা ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সোমবার সালিশ বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। পরে রাতে এলাকার আজিজুল, নজরুল, সুলতান, আমিরসহ আরও ১৫/২০ জন তাদের বাড়িতে গিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।
“তাছাড়া আমার মা-বোনকে মারধর করে। এক পর্যায়ে মাকে একটি ঘরে আটকে রেখে আমার বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা।”
পরে তার মা-বোনের চিৎকারে এলাকাবাসী বেরিয়ে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।
এসআই ফরিদ বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। তবে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়নি। ধস্তাধস্তিতে জামা-কাপড় ছিঁড়ে গেছে।
বিষটি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করা হবে বলেও তিনি জানান।
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী বলেন, তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছিল।