জেলার পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, মঙ্গলবার দুপুরে ওসি মুহাম্মদ সরাফত উল্লাহ, পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেন ও এসআই ওমর ফারুককে প্রত্যাহার করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিলেন সানারপাড় এলাকার মোহাম্মদ হোসেন আলী সাউদের বিধবা মেয়ে আসমা বেগম।
তার অভিযোগ, উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত তাদের ৪৯ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির একাংশ জোরপূর্বক দখল করে নেন সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছেলে সাকিব বিন মাহমুদ ও মো. মহসিন এবং নূর মোহাম্মদের ছেলে মনির।
তাদেরকে ওই তিন পুলিশ কর্মকর্তা সহযোগিতা করার পাশাপাশি আসমাকে হুমকি দিয়ে থানা থেকে বের করে দেন বলেও তার অভিযোগ।
আসমার ছোট ভাই মোহাম্মদ আলী (৩৫), কর্মচারী মো. ওমর ফারুক ও ইমরানকে মাদক মামলায় ফাঁসানো হয় বলেও আসমার অভিযোগ।
এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
পুলিশ সুপার মঈনুল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর তাদের থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
“ওসি সরাফত উল্লাহর বিরুদ্ধে বিভিন্ন মানুষের জমি দখল, নিরীহ মানুষদের হয়রানিসহ নানা অভিযোগ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা পড়েছে। সেগুলো তদন্ত করা হচ্ছে।”