মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা

একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বরগুনার পাথরঘাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

বরগুনা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 May 2017, 02:26 PM
Updated : 22 May 2017, 02:26 PM

পাথরঘাটা উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে রোববার বিকালে মামলাটি করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিউর রহমানের ছেলে মো. মিজানুর রহমান।

পরে বিচারক মো. রেজওয়ানুজ্জামান মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তরের নির্দেশ দেন বলে জানান বাদীর আইনজীবী মনোজ কুমার কির্ত্তোনিয়া।

মামলায় মান্নান হাওলাদারের ছোট ভাই আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার, ভগ্নিপতি হযরত আলীসহ অজ্ঞাত আরও ১২/১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুই বছর আগে পাথরঘাটা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার হন মান্নান।

এর আগেও মান্নান মুক্তিযোদ্ধা নন দাবি করে মুক্তিযোদ্ধাদের একটা অংশ কেন্দ্রীয় সংসদে অভিযোগ করেন। ওই অভিযোগের পর পাথরঘাটা ‍মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়।

মামলার অভিযোগের বরাত দিয়ে এ আইনজীবী জানান, ১৯৭১ সালের ২৯ জুন পাথারঘাটার বাসিন্দা চিত্তরঞ্জন শীলকে রাজাকার জালালের বাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা চালান মান্নান ও তার সহযোগীরা। তাকে হত্যায় ব্যর্থ হয়ে ৩০ জুন চিত্তরঞ্জনের চাচা সুরেন্দ্র নাথকে হত্যা করে মরদেহ গুম করা হয়।

“তাছাড়া মামলার বাদী মো. মিজানুর রহমানের বাবা মুক্তিযোদ্ধা মো. মতিয়ার রহমান ও এ মামলার প্রথম সাক্ষী মন্মথ মিস্ত্রির বাবা মনোহর মিস্ত্রিকে গুলি করে হত্যা করেন তারা। পরে তাদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।”

তাছাড়া আসামিদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতা, আল শামস, আল বদর ও রাজাকারদের কাছে অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিয়ে পাথরঘাটাসহ এর আশপাশের এলাকার নিরীহ ও সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি লুটপাটসহ গবাদিপশু ও গচ্ছিত সম্পদ লুট এবং এলাকায় ত্রাস সৃষ্টির অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান এ আইনজীবী

বাদী মিজানুর রহমান বলেন, “আমার বাবার হত্যাকারীদের বিচারের জন্য সুদীর্ঘ বছর পরে হলেও আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি। এ মামলায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল মান্নান বলেন, প্রতিপক্ষ তাকে হয়রানি করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে মামলা করেছে।